রাবি প্রতিনিধি ১১ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১:১৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভারতীয় আগ্রাসনের প্রতিবাদে র্যালি করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস) রাবি শাখা। আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে র্যালিটি বের করে জাসাস।
বাংলাদেশের অভ্যান্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা, আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশের সহকারী হাই কমিশনে হামলা, জাতীয় পতাকার অবমাননা ও ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশ নিয়ে অপপ্রচারের প্রতিবাদে জাসাসের ব্যানারে এই র্যালিটি আয়োজিত হয়। পরে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রাকসু ভবনের সামনে এসে শেষ হয় র্যালিটি।
র্যালি শেষে সংক্ষিপ্ত এক আলোচনায় জাসাস রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহবায়ক রাকিব আল ইসলাম কাজল বলেন, ভারত বাংলাদেশকে নিয়ে যা শুরু করেছে এর শেষ হওয়া দরকার। ভারত আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র আমরা চাই প্রতিবেশীর সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্মানজনক সম্পর্ক থাকুক সর্বোপরি আমরা শান্তিতে বিশ্বাসী। আমরা দেখেছি ভারত সুযোগ পেলেই আমাদেরকে খাটো করার চেষ্টা করে বিশেষ করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত চারিদিক থেকে আমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্থ করবার উদ্দেশ্যে উঠে পড়ে লেগেছে। আমি ভারতের এসকল কর্মকান্ডের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং খুনি পলাতক হাসিনা যে কিনা ভারতে পালিয়ে গিয়ে এখনো ওখানে বসে থেকে বাংলাদেশকে ধ্বংশ করার চাল চেলে যাচ্ছে তাকে অবিলম্বে বাংলাদেশের জনগণের কাছে ফিরিয়ে দেবার জোর দাবি জানাচ্ছি।
এসময় জাসাস রাবি শাখার সদস্য সচিব গাজী ফেরদৌস হাসান বলেন, বাংলাদেশের উপর ভারতীয় আগ্রাসন বা কোনো ধরনের বৈরী কার্যক্রম যদি ঘটে থাকে, তবে সেটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও জনগণের নিরাপত্তার জন্য স্পষ্ট হুমকি। এ ধরনের ঘটনা কেবল দুটি দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের অবনতিই নয়, বরং আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্যও ক্ষতিকর। আমরা সবসময় আমাদের প্রতিবেশীদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, আমরা আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর কোনো আঘাত মেনে নেব। ভারত যদি বন্ধুত্বের নামে এই ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যায়, তবে তা দুই দেশের দীর্ঘদিনের সম্পর্কের জন্য মারাত্মক পরিণতি ডেকে আনতে পারে। আমরা এ বিষয়ে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, তারা যেন এ ধরনের আগ্রাসী মনোভাব পরিহার করে এবং দ্বিপাক্ষিক সমস্যা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের পথ অনুসরণ করে।
এছাড়াও র্যালিতে সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক নাজমুল হক নাজমুল, যুগ্ম আহবায়ক আহসান রাকিব, যুগ্ম আহবায়ক মহিউদ্দীন আহমেদ সীমান্ত, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল্লাহ আল নিশাত, সদস্য রিজভী আহমেদ,সিয়াম, সামাদ, ফুয়াদ, আমির হামজা, আকাশ, মুরাদসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।