শিক্ষা

রাবি ক্যাম্পাসে বিএনপিপন্থী শিক্ষক ও ছাত্রদলের অবস্থান, নেই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ

  রাবি প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২৪ , ৬:৩১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

রোববার প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন শেখ হাসিনা। অন্তর্বতীকালীন সরকার গঠনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বর্তমানে সেনাবাহিনী সবকিছু পরিচালনা করছে। এই অবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ সকল সরকারি প্রতিষ্ঠান চালু রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যক্রম বলা যায় বন্ধই ছিল। কিন্তু ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছিলেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের শিক্ষকরা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) দুপুর দেড়টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট চত্বরে অবস্থান নিয়েছিলেন তারা।

সরেজমিনে দেখা যায়, পরিবহন মার্কেট প্রাঙ্গণে বসে রয়েছেন ৩০-৪০ জনের মত বিএনপিপন্থী শিক্ষক। তারা নিজেদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করছিলেন। দুপুর দেড়টার দিকে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন তারা। সেখানে ছিলেন ১৫-২০ জন মত ছাত্রদলের নেতাকর্মীও। দুপুর ২টায় এই প্রতিবেদন লেখার সময়েও সেখানে অবস্থান নিয়ে থাকতে দেখা যায় ছাত্রদল নেতাকর্মীদের। এছাড়া, বিশ্ববিদ্যালয়ের বুদ্ধিজীবী চত্বরের সামনের এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন বিএনপিপন্থী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তবে, ক্যাম্পাসের বির্শ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসনের ও আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের কাউকে দেখা যায়নি। হলগুলোতে এখনো আসেনি শিক্ষার্থীরাও।

ক্যাম্পাসের অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রদলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. রাশেদ আলী বলেন, এর আগে আমাদের ওইভাবে ক্যাম্পাসে অবস্থান করতে দেওয়া হতোনা। গতকাল বাংলাদেশ নতুন করে আবার স্বাধীনতা লাভ করেছে। তাই, আমরা রাবি ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শিক্ষকদের সঙ্গে সাক্ষাৎ ও নিজেদের আনন্দ ভাগাভাগির জন্যই মূলত ক্যাম্পাসে অবস্থান করছি। পাশাপাশি ক্যম্পাসে সহিংসতা প্রতিরোধেও সচেষ্ট থাকছি আমরা।

জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) বলেন, শিক্ষার্থীদের রক্তের বিনিময়ে দেশ আজ অপশাসন থেকে মুক্ত হয়েছে। এর সুযোগ নিয়ে কোনো গোষ্ঠী যাতে ক্যাম্পাসে কোনো ধ্বংসাত্মক বা, অনৈতিক কার্যকলাপ করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করার জন্যই আমরা ক্যাম্পাসে অবস্থান নিয়েছি।

অন্যদিকে ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কেউ না আসার বিষয়ে জানতে জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রণব কুমার পাণ্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি রেজিস্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলেন। তবে, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক তারিকুল হাসানের মুঠোফোন নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি কল রিসিভ করেননি।

তবে, এদিন সকালে যোগাযোগ করা হলে একটি হলের প্রাধ্যক্ষ নিরাপত্তাহীনতায় থাকার কথা জানান। এজন্য হলের আবাসিক শিক্ষার্থীদের আপাতত নিজ দায়িত্বে হলে থাকার কথাও বলেন তিনি।

এর আগে, সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যার পরে ক্যাম্পাসে আনন্দ মিছিল করেছিল বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র শিবির ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।