সারাদেশ

‘গ্রেনেড হামলা ট্র্যাজেডি’, রেজিয়ার সন্তানরা মায়ের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দেখতে চায়

  এস এম রাফি ২০ আগস্ট ২০২৩ , ৫:১৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় নিহত রেজিয়ার সন্তানরা মায়ের হত্যাকারীদের দ্রুত বিচার দেখতে চায়। এ সরকারের আমলেই যেন মায়ের হত্যা কারীদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।

পরিবারের সবাই যেন বিচার দেখে মরতে পারে এ কথা গুলো অক্ষেপের সুরে বলেন ২১ আগষ্ঠ গ্রেনেড হামলায় নিহত কাউনিয়ার মেয়ে রেজিয়ার পুত্র হারুনার রশীদ ও নুরুন নবী মসতুল্ল্যার।

আপনার সহযোগিতায় বাঁচতে পারে কাউনিয়ায় ৫ মাসের শিশু আসফিয়া জান্নাত

তারা জানায় প্রথম দু-এক বছর স্থানীয় আওয়ামীলীগের নেতা কর্মীরা মায়ের মৃত্যু বার্ষিকী ঘটা করে পালনে এগিয়ে আসলেও এখন আর কেউ তাদের খোঁজ খবর রাখেনা, স্থানীয় ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদ থেকে দেয়া হয়না কোন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা।

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকায় শেখ হাসিনার জনসভায় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলায় ঘটনাস্থলেই মারা যান কাউনিয়ার বালাপাড়া ইউনিয়নের গঙ্গানারায়ণ গ্রামের রেজিয়া খাতুন। দুঃখ জনক হলেও সত্য যে দীর্ঘসময় অতিবাহিত হওয়ার পরেও মেয়ে হত্যার বিচার দেখতে না পেয়ে রেজিয়ার পিতা আফাজ উদ্দিন (১০০) গত ৭ বছর আগে না ফেরার দেশে চলে যান।

কাউনিয়ায় তিস্তার পানির স্রোতে রাস্তার কালভার্ট ভেঙে ১০ গ্রামের মানুষের যোগাযোগ বিছিন্ন

রেজিয়ার ছেলে নুর নবী ও হারুন মিয়া (মসতুল্ল্যা) জানায় নানা অনেক আশা করেছিলেন শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় , আমাদের মায়ের হত্যার বিচার হবে ঘাতকদের ফাঁসি হবে । কিন্তু নানা আমার মায়ের বিচার না দেখেই মারা গেলেন। আমরা মায়ের হত্যার বিচার দেখতে চাই ঘাতকদের ফাঁসি কার্যকর দেখতে চাই ।

তারা জানায় ২০১৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শেখ হাসিনা তাদের ৮ লাখ টাকা, এবং ঘটনার পরেই ১ লাখ টাকা এবং পর্যাক্রমে মোট ৩২ লাখ টাকা দিয়েছেন। সে টাকা দিয়ে জমি ক্রয়, বন্ধক নিয়ে চাষাবাদ করে পরিবার পরিজন নিয়ে জীবিকা নির্বাহ করছি ।

নুরুন নবী জানায় সে এর কিছু টাকা দিয়ে সে একটি গরুর খামার গড়ে তুলেছেন। রেজিয়ার পুত্র বঁধু আনোয়ারা বেগম বলেন প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া টাকায় ৯ শতাংশ বাড়ী ভিটার জমি ক্রয় করেছি ওই ভিটাতে সরকার যেন একটি পাকা বাড়ি নির্মাণ করে দেন।

রেজিয়ার পুত্ররা আরো জানায়,রেজিয়া ঢাকার আঁগারগাঁও এ ভারতীয় দুতাবাসে ভিসায় ছবি লাগানোর কাজ করত এবং হাজারী বাগ এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করত। ঢাকা মহানগর হাজারীবাগ এলাকার আওয়ামীলীগের নেত্রী আয়শা মোকাররমের হাত ধরে রেজিয়া হাজারীবাগ মহিলা আওয়ামীলীগের কর্মী হয়।

দীর্ঘ একযুগেরও বেশী সময় ঢাকায় আ’লীগের মিছিল মিটিং এ রেজিয়ার ছিল সরব উপস্থিতি। এরই সূত্র ধরে ঘটনার দিনওই মহিলা নেত্রী রেজিয়া সহ আরও ২০/২৫ জন মহিলাকে সাথে নিয়ে শেখ হাসিনার জনসভায় যোগ দেন।

জনসভা চলাকালীন হঠাৎ ভয়াবহ গ্রেনেড বিস্ফোরণে অনান্যদের মত রেজিয়া খাতুনের ঘটনা স্থলেই মৃত্যু হয়। ২২ আগস্ট নিহত রেজিয়ার পিতা-মাতা মেয়ের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে ঢাকায় গিয়ে মেয়ের লাশ শনাক্ত করেন, পরে তাকে ঢাকা আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হয়। রেজিয়ার ছেলেদের দাবী তার মায়ের হত্যার বিচার নানাভাই দেখে যেতে না পারলেও , তারা দু’ভাই সহ পরিবারের লোকজন যেন এ সরকারের আমলেই মায়ের হত্যাকারীদের যেন ফাঁসি দেখে যেতে পারি।