কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৩:০৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ঠাকুরগাঁও জেলার পিরগঞ্জ থানার ফাটার হাট এলাকার বেলতলি গ্রামের কলিমউদ্দিনের ছেলে, মোঃ নুর আলম মিয়া (৩৫) রৌমারী খালার বাড়িতে বেড়াতে এসে গভিররাতে বছির উদ্দিন শেখ (১০৫) নামের অসুস্থ বৃদ্ধা খালুকে গলাটিপে ও কিল ঘুষি মেরে হত্যা করেন।
মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর ভোর সাড়ে ৩টার দিকে কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের উত্তর কাউনিয়ার গ্রামে এই ঘটনাটি ঘটেছে।
মৃত বছির উদ্দিন শেখের পুত্র মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন,আমার খালাতো ভাই নুরআলম মিয়া গত ৬ দিন আগে আমাদের বাড়িতে বেড়াতে আসেন। আমার বাবা যে ঘরে থাকেন আমার খালাতো ভাইকেও সেই একই ঘরে থাকতে দেই। সোমবার রাতেও সে আমার বাবার কাছে একই রুমে ঘুমাতে যায়। আমিও পাশের রুমে ঘুমিয়ে পরি,হঠাৎ রাত ৩টার দিকে আমার খালাতো ভাই আমাকে ডেকে তুলে বলে যে তোর বাবা মারা গেছে। আমি বাবার রুমে গিয়ে দেখি আমার বাবা মাটিতে পরে আছে। আলো জ্বালিয়ে বাবার মুখে কয়েক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন এবং রক্ত দেখতে পাই।
তখন আমার সন্দেহ হয় আমার বাবাকে খালাতো ভাই নুর আলম আঘাত করে হত্যা করেছে। আমি তখন বলি আমার বাবা এমনিতে মরতে পারেনা,তুই তাকে হত্যা করেছিস এই বলে আমি চিৎকার করি এবং তাকে আটক করার জন্য ধরতে যাই। সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালানোর জন্য ভারত সিমান্তের কাছে চলে যায়। আমিও তার পিছে পিছে যাই। সে ভারতে প্রবেশ করার চেষ্টা করলে ভারতীয় সিমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ তাকে আটক করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানিয় ইউপি সদস্য মোঃ মিজানুর রহমান মিজান বলেন, আটক যুবক হত্যাকান্ড ঘটিয়ে দাঁতভাঙ্গা বিওপি ক্যাম্পের আওতাধীন কাউনিয়া চর সিমান্ত ১০৫৪ নং পিলারের কাছদিয়ে ভারতে পালানোর চেষ্টা করে। পরে ভারতীয় সিমান্ত রক্ষীবাহিনী বিএসএফ তাকে আটক করে। খবর পেয়ে বাংলাদেশের দাঁতভাঙ্গা বিওপি ক্যাম্পের বিজিবি সদস্য গণ ঘটনা স্থানে চলে যায়। এবং পতাকা মিটিং এর মাধ্যমে তাকে ফেরত এনে ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরে বিজিবি তাকে রৌমারী থানায় হস্তান্তর করেন।
এবিষয়ে রৌমারী থানার ওসি মোঃ গোলাম মোর্তোজা
বলেন মৃত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে আসামিকেও আটক করে থানায় আনা হয়েছে মামলা প্রক্রিয়াধীন।