বিবিধ

রৌমারীতে বিজিবি ও ছাত্র-জনতার উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ

  রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৫:১০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বিজিবি ছাত্র-জনতার উদ্যোগে সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। বুধবার ৪ সেপ্টেম্বর বেলা ১১ টার দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের গয়টা পাড়া গ্রামের জিঞ্জিরাম নদীর উপর প্রায় ৪ শত ৫০ ফিট দৈর্ঘ্য ও প্রস্ত ৬ ফিট সাঁকোটি জনগনের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিজিবি ছাত্র-জনতা মিলে ফিতা কেটে উদ্বোধন করে চলাচলের জন্য উমুক্ত করে দেওয়া হয়। ফলে এলাকায় ফিরেছে স্বস্তি।

স্থানীয়রা জানান, সাধারণ মানুষ হাট-বাজারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় নানা পণ্য আনা-নেওয়ার পাশাপাশি স্থানীয় প্রাথমিক, মাধ্যমিক, কলেজের শিক্ষার্থীরাসহ নানা শ্রেণি পেশার মানুষ নৌকা দিয়ে পারাপারে চরম দুর্ভোগে পোহাচ্ছেন এলাকার সর্বস্তরের মানুষ। অনেকে জরুরি প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নৌকায় পারাপার হচ্ছেন। দীর্ঘদিন আগে এলাকাবাসির উদ্যোগে একটা সাঁকো নির্মাণ করা হয়। কিন্তুু বন্যার পানির ¯্রােতে নষ্ট হয়। এমতবস্থায় ঝুঁকি নিয়ে গয়টা পাড়া গ্রামে জিঞ্জিরাম নদীতে নৌকা দিয়ে চরম দুর্ভোগে পারাপার হয় দুই পাড়ের ৮ গ্রামের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। দীর্ঘদিন থেকে অবহেলিত এই জনপদের জনগণের দুর্ভোগ লাঘবে কেউ এগিয়ে আসেনি। স্থানীয়ভাবে একটি সেতু নির্মাণের দাবি জানান এলাকাবাসি।

জনদুর্ভোগ লাঘবে বিষয়টি জামালপুর ব্যাটালিয়ন (৩৫ বিজিবি) এর অধিনায়ক গয়টাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার এবং এলাকার ছাত্র-জনতার দৃষ্টি পরিলক্ষিত হয়। পরে বিষয়টি গয়টাপাড়া বিওপি কমান্ডার অধিনায়ক ৩৫ বিজিবি জামালপুরকে অবগত করেন। বিষয়টি রিজিয়ন কমান্ডার সরাইল এবং সেক্টর কমান্ডার ময়মনসিংহ অবগত করলে সকলেই ব্রিজ স্থাপনের ব্যাপারে সদয় সম্মতি প্রদান করেন। পরে বিজিবি এবং এলাকার ছাত্র-জনতা গ্রামবাসীর কষ্ট লাঘবের জন্য ওই নদীর উপর একটি বাশের ব্রিজ স্থাপনের জন্য উদ্যোগ গ্রহন করেন। এলাকার ছাত্র-জনতা ও বিজিবির সার্বিক সহযোগিতায় ব্রিজটির কাজ সম্পন্ন হয় । বিজিবি এবং ছাত্র-জনতার এই মহৎ উদ্যোগে এলাকাবাসী খুবই আনন্দিত। ব্রিজটি এখন ক্ষুদ্র যানবাহন এবং এলাকাবাসীর চলাচলের উপযোগী হয়েছে।
স্থানীয় এক শিক্ষার্থী পারভেজ মোশারফ বলেন, এলাকার মানুষের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিজিবি ও ছাত্র-জনতার সার্বিক সহযোগীতায় সাঁকো নির্মাণ করা হলো। এখন আর দুর্ভোগ পোহাতে হবে না।
গাড়ি চালক মায়নুল বলেন, আগে নৌকা দিয়ে পারাপারে অসম্ভব ছিলো। বর্তমানে সাঁকো নির্মাণ করায় গাড়ি দিয়ে চলাচল করা যায়।
এব্যাপারে গয়টাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডার নায়েব সুবেদার এ বি সিদ্দিক জানান, জনসেবা মূলক কাজের অংশ হিসাবে দুর্ভোগ লাঘবে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়েছে। ফলে সাধারন মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

এবিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী মনছুরুল হক বলেন, আপাতত কোন বরাদ্দ নেই। তবে ব্রিজ নির্মাণের জন্য উর্ধোতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাহিদ হাসান খান বলেন, এলাকাবাসি আবেদন দিলে বিষয়টি উর্ধোতন কর্তৃপক্ষে জানানো হবে।