সারাদেশ

রৌমারীর সায়দাবাদে অসুস্থ গরু জবাই করে হাজতে কসাই

  এস এম রাফি ২৪ আগস্ট ২০২৩ , ৯:৪০ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রি করার অপরাধে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সায়দাবাদ বাজারে এক মাংস বিক্রেতাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

রৌমারীতে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে গৃহবধূর মৃত্যু

বুধবার (২৩ আগস্ট) সকালে উপজেলার সায়দাবাদ বাজারে মাংস কিনতে এসে মাংস বিক্রি আটকে দেয় এলাকাবাসী। মাংস কিনতে আসা রুবেল আহমেদ জানান সকালে মাংস কিনতে এসে দেখি গরুর মাংসর রং একেবারে পরিবর্তন হয়ে হলুদ হয়ে গেছে সেইসঙ্গে ওষুধের দুর্গন্ধ বের হয়েছে। এমন অবস্থায় প্রশাসনকে খবর দেওয়া হয়। পারে প্রসাশন এসে পরিক্ষার-নীরিক্ষা করে কসাইকে জেল দেয়।

এস এম রায়হান জানান মাংস কিনতে এসে শুনি পাশের গ্রামের অসুস্থ গরু সাদ্দাম কসাই কিনে এনে বিক্রির করা অবস্থায় এলাকাবাসী আটকে দেয়।

রুবেল, রায়হানের মতো অনেকেই অভিযোগ করে বলেন স্বাস্থ্য পরীক্ষা না করে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে নানা রোগে আক্রান্ত পশুর মাংস বিক্রি করছেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

উপজেলা প্রানী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহিত করার মাধ্যমে পশু জবাই করার নিয়ম থাকলেও রৌমারী উপজেলার ব্যবসায়ীরা তা অনুসরণ করেন না। নেই প্রশাসনিক নজরদারি। তারা নিজেদের খুশিমত যেনতেন পশু জবাই করে দেদার বিক্রি করে চলছেন।

অসুস্থ গরু মাংস বিক্রির অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে শাস্তি দেওয়া হয়েছে বলে জানান ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী মেজিস্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নাহিদ হাসান খান।

ইউএনও জানান, উপজেলার যাদুরচর ইউনিয়নের সায়দাবাদ বাজারে অসুস্থ গরু জবাই করে মাংস বিক্রির চেষ্টাকালে সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যবসায়ীকে হাতেনাতে ধরা হয়। পরে জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করে যে, অসুস্থ একটি গরু তারা জবাই করে সেই মাংস বিক্রির উদ্দেশ্যে বাজারে নির্ধারিত কসাইখানায় নিয়ে এসে বিক্রির চেষ্টা করেছেন।

ইউএনও আরও বলেন, ‘ভ্রাম্যমাণ আদালত ভেটেরিনারি সার্জন এবং সেনেটারি ইন্সপেক্টর কর্তৃক মাংস পরীক্ষা করলে তারা প্রত্যয়ন দেন যে, এই মাংস খাওয়ার উপযুক্ত নয়। পরে পশু জবাই ও মাংস নিয়ন্ত্রণ আইন-অনুযায়ী মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে সাদ্দাম হোসেনকে ৭ দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। জব্দ মাংস মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়।’ আমাদের এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।