স্টাফ রিপোর্টার: ১৪ মে ২০২৪ , ১০:১৯ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
৮ মে বৃহস্পতিবার ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১ম পর্যায়ের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ১০ কেন্দ্রের ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়ে জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার বরাবর আবেদন করেছেন পরাজিত প্রার্থী মো:মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী।১০টি কেন্দ্রে ভোট গণনায় অনিয়ম হয়েছে দাবি করে ভোটের পরেরদিন শুক্রবার দুপুরে তিনি এই আবেদন করেন।
নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফল অনুযায়ী মো: শহিদুল ইসলাম সালু কাপ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ৫০৪ ভোট, তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো: মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী টেলিফোন প্রতীকে পেয়েছেন ২৪ হাজার ২৫৩ ভোট।
লিখিত অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতা মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী উল্লেখ করেন,কেন্দ্র নং ১০ কাজাইকাটা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কেন্দ্র নং ১৪ টাপুরচর বিজি উচ্চ বিদ্যালয়, কেন্দ্র নং ২৬ চর বন্দবেড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেন্দ্র নং ২৭ বাঘমারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেন্দ্র নং ৪২ মির্জাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কেন্দ্র নং ৪৩ নতুন বন্দর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,কেন্দ্র নং ৪৭ বিবিসি উচ্চ বিদ্যালয়,কেন্দ্র নং ৫৩ শৌলমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেন্দ্র নং ৫৮ শৌলমারী এম আর স্কুল এন্ড কলেজ এবং কেন্দ্র নং ৬১ বাউসমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রসহ ১০ টি কেন্দ্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়,কেন্দ্র নং ৪৭ এ কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো:শহিদুল ইসলাম শালু প্রিজাইডিং অফিসারদের অবৈধ প্রভাব খাটিয়ে বশকরত আমার টেলিফোন প্রতীকের ভোট কাপ পিরিচের বান্ডিলের মধ্যে ঢুকিয়ে গণনা করেছেন এবংকি গণনা কালে আমার কোনো প্রতিনিধিকে ঢুকতে দেয় নাই। কেন্দ্রে কোনো ফলাফল সীট টাঙানো বা প্রার্থীর প্রতিনিধিকে প্রদান করা হয় নাই।এমনকি সহকারী রির্টানিং অফিসারের কার্যালয়ে টেলিফোন প্রতীকের ভোট দেখানো হয় ৬১টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ২৪২৫৩(১ম) এবং কাপ পিরিচ প্রতীকের ভোট দেখানো হয় ৬১ টি কেন্দ্রে প্রাপ্ত ভোট সংখ্যা ২৩,৯৫৪(২য়) কিন্তু ঘন্টা খানেক পর কাপ পিরিচ এর ভোট দেখানো হয় ২৪,৫০৪। উহা বানোয়াট, ভিত্তিহীন এবং চকান্ত মূলক। এমতা অবস্থায় আমার সন্দেহ হচ্ছে কাপ পিরিচ প্রতীকের প্রার্থী মো: শহিদুল ইসলাম শালু আমাকে কারসাজি পূর্বক পরাজিত হিসাবে ঘোষণা করিয়াছে। উপরোক্ত কারণ মতে উক্ত কেন্দ্রসহ ফলাফল বাতিল করে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানান মো:মজিবুর রহমান বঙ্গবাসী।
জেলা নির্বাচন অফিসার ও প্রথম ধাপের নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মো. আলমগীর বলেন, ‘তাদের অভিযোগ পেয়েছি। কিন্তু ফল ঘোষণার পর রিটার্নিং অফিসার কিংবা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কিছু করার নেই। আমরা প্রিসাইডিং অফিসারদের দেওয়া কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে ফল ঘোষণা করেছি। তাদের এখন নির্বাচনি ট্রাইব্যুনালে যেতে হবে।’
ভোট পুনর্গণনা চেয়ে নির্বাচন কমিশনে সংক্ষুব্ধ প্রার্থীদের লিখিত অভিযোগ দেওয়া প্রসঙ্গে এই নির্বাচন অফিসার বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কী সিদ্ধান্ত নেবে সেটা কমিশন জানাবে’।
প্রার্থীকে নির্বাচনী আইন অনুযায়ী সরকারি গেজেট প্রকাশের এক মাসের মধ্যে নির্বাচনী প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালে মামলা করতে হবে। প্রিসাইডিং কর্মকর্তা কেন্দ্রে ফলাফল ঘোষণার পর সেটির ওপর প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কোনো হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই। এ বিষয়ে কেবল আদালতই সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।