সারাদেশ

লাভের আশায় শীতকালীন আগাম সবজি চাষে ব্যস্ত গাইবান্ধার চাষীরা

  এস এম রাফি ২৮ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:৪৬ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

তাসলিমুল হাসান সিয়াম,গাইবান্ধা প্রতিনিধি: শীত শুরুর আগেই আগাম শাকসবজি বাজারে তুলতে পারলে কিছুটা লাভের মুখ দেখেন চাষিরা। তাই আগেভাগে বাজারে শীতকালীন সবজি তুলতে গাইবান্ধার কৃষকদের মধ্যে সবজি চাষে ব্যস্ততা বেড়েছে।চারা তৈরি ও জমি পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জেলার বিভিন্ন উপজেলার কৃষকরা।

বাজারে অন্য মৌসুমের সবজির মধ্যে শীতের আগাম সবজির দাম রয়েছে আকাশচুম্বি। তাই অধিক দামের আশায় উৎপাদনে ঝুঁকছেন প্রান্তিক কৃষক।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ জানিয়েছে, চলতি রবি মৌসুমে জেলার ৭ উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এরই মধ্যে প্রায় ১ হাজার হেক্টর অর্জিত হয়েছে। কৃষকদের আগ্রহ অনুযায়ী আগামী মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহের দিকে এই লক্ষ্যমাত্রা ছাড়তে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জানা যায়, গেল খরিপ মৌসুম থেকে শাক-সবজির দামবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। চলতি রবির শীতের শাক-সবজির দাম আরও আকাশচুম্বি। তাই কাঁচা তরকারির দাম বেশি থাকায় এসব চাষাবাদে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে অনেকটাই। তারা ইতোমধ্যে সিম, কপি, মূলা, লাউ, বেগুন, পালং শাক, লাল শাকসহ আরও বিভিন্ন ধরণের সবজি চাষাবাদ শুরু করছেন। এরই মধ্যে কিছু সংখ্যক কৃষক তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রিও করছেন। তবে এ বছরে বীজ-চারা, সার-কিটনাশক ও অন্যান্য কৃষি উপকরণের দাম বেশি থাকায় চাষাবাদে হিমসিম খাচ্ছেন বলে তাদের অভিযোগ। তবুও লাভের আশায় শীতকালীন শাক-সবজি চাষে মাঠে ঘাম ঝড়াচ্ছেন তারা।

কৃষক বেলাল উদ্দিন ফকির বলেন, ইতিমধ্যে দেড় বিঘা জমিতে লাউ ও মূলা আবাদ করেছি। আর কিছুদিন পরে ফসল বিক্রি করা যেতে পারে। এতে খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। দাম ভালো থাকলে খরচ বাদে প্রায় ৫০ হাজার টাকা লাভ থাকবে।

আরেক কৃষক মুধু মিয়া বলেন, প্রতি বছরের ধারাবাহিকতায় এ বছর বেশি জমিতে শীতের সবজি হিসেবে মূলা, পালং শাকসহ অন্যান্য শাক-সবজি আবাদ করেছি। এতে কৃষি বিভাগের কোন ধরণের সহযোগিতা পাওয়া যায় না। তাদের পরামর্শ পেলে লাভবান হওয়া যেতো।

উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা তানজিমুল হাসান বলেন, শাক-সবজির স্থানীয় চাহিদাপূরণের লক্ষ্যে ও কৃষকদের লাভবান করতে প্রণোদনা দেওয়াসহ বিভিন্নভাব সহযোগিতা করা হচ্ছে।

গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, চলতি রবি মৌসুমে ৯ হাজার ৮২৫ হেক্টর জমিতে শাক-সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়। এরই মধ্যে প্রায় ১ হাজার হেক্টর অর্জন হয়েছে। আশা করি লক্ষ্যমাত্রা ছেড়ে যাবে।