uadmin ২ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:৫০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
হাসানুজ্জামান হাসান,লালমনিরহাট:লালমনিরহাটে বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষে শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়েছে। ঘটনার তিন দিন পর গত বুধবার সন্ধ্যায় সদর থানায় হওয়া মামলায় ৮১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয়ের আরও ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপ-মন্ত্রী আসাদুল হাবিব দুলুকে আসামি করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলায় বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুকে প্ররোচনাদানকারী হিসেবে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তিনি ১ নম্বর আসামি। মামলার তদন্তের পাশাপাশি অভিযুক্ত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার করতে জোর চেষ্টা চলছে।
নিহত জাহাঙ্গীর আলম (৪৮) লালমনিরহাট সদর উপজেলা লোড-আনলোড শ্রমিক ইউনিয়নের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তার বাল্যবন্ধু পরিচয়ে মামলাটি করেছেন সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীরচওড়া গ্রামের আমিনুল ইসলাম খান (৪৫)। তিনি হারাটি ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য।
এজাহারে তিনি উল্লেখ করেছেন, হত্যাকাণ্ডের শিকার জাহাঙ্গীর আলম তার বাল্যবন্ধু। সে কারণে তিনি জাহাঙ্গীর আলমের পরিবারের সম্মতিতে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন, যাতে দোষী ব্যক্তিদের শান্তি নিশ্চিত হয়।
উল্লেখ্য, গত রোববার বিএনপির ডাকা হরতাল চলাকালে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে লালমনিরহাট সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজার এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ চার থেকে পাঁচজন গুরুতর আহত হন। তাদের মধ্যে তিনজনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাহাঙ্গীর আলম রোববার দুপুরে মৃত্যুবরণ করেন।
লালমনিরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. মতিয়ার রহমান বলেন, হত্যাকাণ্ড হচ্ছে একটি জঘন্য অপরাধ। এ বিবেচনায় জাহাঙ্গীর আলমকে হত্যায় সরাসরি জড়িত ও যারা হত্যার ইন্ধন জুগিয়েছেন, তাদের সবাইকে আইনের আওতায় নিয়ে এসে সঠিক বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সভাপতি আসাদুল হাবিব দুলুর সাথে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।
নিহত জাহাঙ্গীর আলমের স্ত্রী আফরোজা বেগম জানান, তারা মানসিকভাবে বিপর্যন্ত। এ অবস্থায় আমিনুল ইসলামকে মামলার বাদী হতে সম্মতি দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমার স্বামীকে হত্যার সঙ্গে জড়িত সবার বিচার চাই।