ফ্যাশন

শীতে সবাই কেন এত বিয়ে করে

  অনলাইন ডেস্ক ১ জানুয়ারি ২০২৪ , ৩:১৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

শীতকালকে বলা হয় বিয়ের মৌসুম। কারণ বিয়ের জন্য অনেক এলাকায় শীতকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। শীতকালে বিয়ের আয়োজন করা হলে বাড়তি কিছু সুবিধা পান আয়োজকরা। আসুন জেনে নেওয়া যাক শীতকালে বিয়ে করার এমন ৭টি সুবিধা।

পরিশ্রমে সুবিধা: বিয়ের আয়োজন করতে আয়োজকদের অনেক পরিশ্রম করতে হয়। দাওয়াত, খাওয়া-দাওয়া, প্যান্ডেল কতো কাজই না করতে হয় বিয়েতে! সাধারণত গরমের দিতে একটু পরিশ্রম করলেই হাপিয়ে উঠতে হয়। কিন্তু শীতের দিনে এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা।

সাজগোজে স্বস্তি দেয়: দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোতে শীতের সময় ছাড়া দীর্ঘ সময় মেকআপ থাকে না। গরমে-ঘামে মেকআপে সমস্যা সৃষ্টি হয়। কিন্তু শীতের সময় বিয়ের সাজগোজ সহজ হয়। তাই বর-কনে ছাড়া বাকিরাও বিয়ে-বাড়ির সাজের আনন্দ নিতে পারে মন মতো।

ডেকোরেশন: শীতকালে ডালিম, রজনীগন্ধা, অর্কিড, গাঁদা, গোলাপ, জুঁইসহ নানান টাটকা ফুল পাওয়া যায়। তাই কৃত্রিম ফুলের প্রয়োজন হয় না। চাইলে পুরো বিয়ের অনুষ্ঠান প্রাকৃতিক ফুলে সাজানো যায়।

ফল কেনার ঝামেলা নেই: সাধারণত গরমের সময় নানান মৌসুমী ফল পাওয়া যায়। যেমন শীতে আম, লিচুর ফলন খুব একটা নেই। তাই শীতের সময় বিয়ে হলে মৌসুমী ফল কেনার ঝামেলাও নেই।

বিদ্যুৎ বিল: শীতকালে ফ্যান চালাতে হয় না। আবার দ্রুত ঘুমানোর একটা তাড়া থাকে। তাই সব লাইট-টিভিও তাড়াতাড়ি বন্ধ হয়ে যায়। এতে মাসিক বিদ্যুৎ বিল এক্কেবারেই কম হবে।

মশারি টানানোর ঝামেলা নেই: বিয়ের আয়োজনে সাধারণ বাড়িতে বহু মানুষের উপস্থিতি থাকে। কিন্তু একটি পরিবারে অতিরিক্ত মশারি তেমন থাকে না। তাই শীতের সময় বিয়ে হলে সুবিধা, বেশিরভাগ সময় মশারি দরকার হয় না। এমনিতে মশা কম থাকে। আবার অনেকে কাথা-কম্বল মুড়ি দিয়ে ঘুমালে মশা কামড়ানোর সুযোগ নেই।

হানিমুনে সুবিধা: বিয়ের পর খুব বেড়ানো যায়। রোদের তাপ নেই, ক্লান্তি নেই। বরের হাত ধরে নতুনের স্বাদটা ভালোই উপভোগ করা যায় শীতে। একেবারে ষোলোকলা পূর্ণ এক হানিমুন!