সারাদেশ

শীত না আসতেই শুরু হয়েছে ভাপা পিঠার আমেজ

  এস এম রাফি ৮ অক্টোবর ২০২৩ , ২:২৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

প্রকৃতির নিয়মানুসারে নির্দিষ্ট সময়ের পর ঋতুর পরিবর্তন ঘটে। একেক ঋতুর রয়েছে ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য। তেমনই শীতকাল সবদিকে উপভোগ্য এক ঋতু। শীত মানেই পিঠাপুলির মৌসুম। শীতকালে অন্যসব পিঠার মধ্যে জনপ্রিয় পিঠা হলো ভাপা পিঠা।
কিন্তু শীত না আসতেই শেরপুর জেলার শ্রীবরদী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ও শহরের মোড়ে, বাজারে শীতকালীন ভাপা পিঠা তৈরির ধুম পড়েছে। তবে গ্রামাঞ্চলের লোকদের মাঝে বাগা পিঠা (ভাপা পিঠা) নামে এর ব্যাপক পরিচিতি। প্রতিবছর শীত বাড়ার সাথে সাথে ভাপা পিঠা খাওয়ার ধুম পড়ে যায়।
শরতের সকালে গ্রামের মোড়ে গিয়ে দেখা যায় এক চালা আলগা ঘরের ভিতর পিঠা তৈরির পাতিল, চালের গুড়া, খেজুরের গুড় এবং পিঠা তৈরির সরঞ্জাম। চার দিক বসে আছে শিশু, কিশোর ও বৃদ্ধ। এ যেন শীতের সকাল। প্রতি পিচ ভাপা পিঠা বিক্রি হচ্ছে পাঁচ টাকায়।
পিঠা বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, সকাল ৫:৩০ এর পর থেকে পিঠা বিক্রি শুরু হয় এবং তা ৮টা পর্যন্ত চলে। এরই মধ্যে সকল পিঠা বিক্রি করা শেষ হয়। ‘ভাপা পিঠা কিভাবে তৈরি করা হয়’ এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, বিকালে চাল ভিজেই রাখি, রাতে রাইস মিলে গিয়ে গুড়া করে নিয়ে আসি। এরপর সকালে চালের গুড়াই হালকা পানি ও লবণ দিয়ে মাখাই। এরপর নির্দিষ্ট পরিমাণ গুড় দিয়ে ভাপা পিঠা তৈরি করি।
সাধারণত ভাপা পিঠা দুই উপায়ে তৈরি ও তিন পদ্ধতিতে খাওয়া হয়। এরমধ্যে চালের গুঁড়ার সাথে খেজুরের গুড় মিশিয়ে ও গুড় ছাড়া আলাদাভাবে তৈরি করা হয়। তৈরিকৃত ভাপা পিঠা ঐতিহ্যবাহী খেজুরের রস, মাংসের ঝোল ও খেজুরের গুড় মিশ্রণগুলো খালি ভাবে খাওয়া হয়। তবে আগেকার দিনের মতো অত্যন্ত সুস্বাদু খেজুরের রস খোঁজে পাওয়া যায় না।

ক্রেতারা জানান, সকাল বেলায় ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ঘুম থেকে উঠে শীত শীত ভাবে হাত মুখ ধুইয়ে গরম গরম পিঠা মুখে দিলে অন্যরকম অনুভূতি হয়।