এস এম রাফি ১২ আগস্ট ২০২৩ , ৮:২৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলায় দেউলভোগ মোড় থেকে আরধীপাড়া মুন্সীরহাটি পাঁকা রাস্তায় ব্রীজ ও রাস্তার বড় অংশ ভাঙ্গনে ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে হাজার হাজার মানুষ।
রাস্তাটি অর্ধেক সংস্কারের পূর্বেই রাস্তা ও ব্রীজে এই বড় ধরনের ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। গত ছয় মাস পূর্বে এলজিইডির আওতাধীন প্রায় কোটি টাকায় সংস্কারে কাজটি পান ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ খোকন।
সংস্কার কাজ শুরু করে শেষ না হওয়ার পূর্বেই রাস্তায় থাকা ব্রীজসহ রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড় বড় অংশে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে। এছাড়া রাস্তাটির দেউলভোগ মোড় থেকে ধাইসার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তা সংস্কার না হওয়ায় প্রতিদিন রাস্তা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীসহ শ্রীনগর সদর ইউনিয়নের প্রায় ২০ হাজার মানুষ। ব্রীজ ও রাস্তায় এই ধরনের বড় ভাঙ্গনে প্রতিনিয়ত ঘটছে বিভিন্ন দূর্ঘটনা। এতে প্রতিদিন কোন না কোন যানবাহন চালক কিংবা পথচারী আহত হয়ে পঙ্গুত্ববরণ করতে হচ্ছে। কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারীরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পশ্চিম দেউলভোগ এলাকার আমির আলী জামে মসজিদ সংলগ্ন খালের উপর নির্মিত পাঁকা ব্রীজের উত্তর পাশের গোড়ায় অর্ধেক ভেঙ্গে গিয়েছে এবং দেউলভোগ সবুজ হাটি মোড়ে রাস্তা পশ্চিম পাশ্ব থেকে রাস্তার অর্ধেক ভেঙ্গে যাওয়ায় ট্রাক, মাইক্রোবাস, অটো, রিক্সা, ভ্যান মোটর সাইকেল প্রতিনিয়ত ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করছে। এছাড়া দেউলভোগ মোড় থেকে ধাইসার পর্যন্ত প্রায় ১ কিলোমিটার রাস্তার কার্পেট উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তে সৃষ্টি হয়ে খানাখন্দে ভরে গেছে। সবচেয়ে বেশী দুরবস্থা দেউলভোগ মোড়ে, ধাইসার মাদ্রাসার সামনে ও ধাইসার আলেপ খাঁ বাড়ীর সামনের রাস্তা। ধাইসার টেম্পু স্ট্যান্ড শ্যামসিদ্ধি মঠবাড়ি পর্যন্ত রাস্তার খুবই দুরাবস্থা। এখানে একটু বৃষ্টি হলেই পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় হাঁটু পর্যন্ত পানি ভুবে যায় রাস্তা।
অটোরিক্সা চালক জাকির হোসেন বলেন, আমি এই রাস্তায় অটো রিক্সা চালাই। কয়েকদিন আগে এই রাস্তাটি মেরামত করেন। মেরামত কাজ শেষ না হতেই আমির আলী মসজিদের সামনে ব্রীজ ও রাস্তায় বড় ধরনের ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। এতদিন হলো মেরামতের জন্য কেউ কোন পদক্ষেপ নেয়নি। এই ভাঙ্গন মেরামত না করার কারনে প্রতিদিন আমরা দুর্ঘটনা শিকার হই। অনেক সময় ভাঙ্গনের এসে দুই অটো সামনাসামনি হলে গাড়ি দাড়িয়ে অন্য গাড়িকে পাড় হওয়ার জন্য সাইড দিতে হয়।
মুন্সীরহাটি গ্রামের বাসিন্দ আহসান রহমান জানান, শ্রীনগর উপজেলা সদরে যেতে এটিই আমাদের একমাত্র রাস্তা। রাস্তাটির দেউলভোগ এলাকার ব্যাপক খারাপ হওয়ায় এবং একটি ব্রীজের গোড়ায় ও রাস্তার অর্ধেক ভাঙ্গন থাকায় খুব ঝুঁকি নিয়ে প্রতিদিন আমাদের নিয়েই চলাচল করতে হয়। এই ভাঙ্গন দুইটি এতদিন হল কেউ মেরামত করছেন না।
উপজেলা প্রকৌশলী মফিফুল ইসলাম বলেন, রাস্তা সংস্কার কাজটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মালিক মোঃ খোকন ইনকমপ্লেট করায় তাকে কাজটি কমপ্লেট করার জন্য বলা হয়েছে এবং এখন তাকে বিল দেয়া হয়নি। গত অর্থ বছরের সরকারের বরাদ্দ কম থাকায় মেনটেনেন্স জমা দেয়া হয়নি। এই বছর দেউলভোগ মোড় থেকে ধাইসার পর্যন্ত রাস্তার সংস্কার কাজের মেনটেনেন্স জমা দেওয়া হবে।