এস এম রাফি ২৭ আগস্ট ২০২৩ , ৭:১১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বানিজ্যিক ভাবে সবজি চাষ করে লাভবান হয়েছেন শ্রী চন্দ্রনাথ বর্মন নামে এক কৃষক। তিনি বর্তমানে এসব সবজি চাষ করে বছরে প্রায় তিন থেকে চার লাখ টাকার সবজি বিক্রি করছেন তিনি।
গত এক বছর ধরে চলছে তার সবজি চাষ। শ্রী চন্দ্রনাথ বর্মন ৪০ শতাংশ জমিতে বারো মাস সবজি চাষ করেন। তার সবজি খেতে শষা, করলা, মরিচ, ঝিঙ্গা, ভেমরা ও ঢেরশ রয়েছে বর্তমানে।
শ্রী চন্দ্রনাথ বর্মন উপজেলার রানীগঞ্জ ইউনিয়নের ফকিরেরহাট এলাকায় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বসবাস করেন। তবে সবজি চাষের কারণে নয়ারহাট ইউনিয়নের বজরা দিয়ারখাতায় একায় রয়েছেন।
সরেজমিনে বজরা দিয়ার খাতায় গিয়ে দেখা যায়, ৪০ শতাংশ জমিতে সবজি চাষ করেছেন শ্রী চন্দ্রনাথ বর্মন। পাশাপাশি সবজি খেত দেখাশোনার জন্য রেখেন দুইজন শ্রমিক। তাদের দৈনিক পারিশ্রমিক দেন তিনি। দেখা গেছে, বাড়ির চারপাশে গড়ে তুলেছেন সবজির বাগান। একপাশে রয়েছে ঝিঙা, অপর পাশে রয়েছে করলা, বাড়ির উঠানের কাছে দেখা গেছে ঢেরশের গাছ। এসময় চোখে পড়ে দুজন শ্রমিক দিয়ে খেত থেকে সবজি তুলে স্থানীয় একটি বাজারে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় একটি নতুন হাট সেট তৈরি হওয়ার কমেছে বিড়ম্বনা, পুষে ওঠেছে পরিবহন খরচও। আগের মতো নৌকা যোগে যেতে হচ্ছে না উলিপুর কিংবা সদর এলাকায়। এখন জমি থেকে সবজি তুলে নিজ এলাকার হাটসেটে বিক্রি করে ওই এলাকার প্রায় তিনশতাধিক পরিবারের চাহিদা মেটাচ্ছেন তিনি।
শ্রী চন্দ্রনাথ বর্মন বলেন, ওই জমিতে ধান কিংবা পাট চাষ করে যে পরিশ্রম করতে হয়। সেই পরিমাণ পারিশ্রমিক পাওয়া যেতো না। পরে ধান চাষ বাদ দিয়ে জমিতে সবজি চাষ শুরু করেছি। গত এক বছর থেকে এই জমিতে সবজি চাষ শুরু করি। এতে দেখা গেছে গেলো বছরে প্রায় তিন থেকে ৪ লাখ টাকার সবজি বিক্রি করেছি এবং আয়ও করেছি। এতে এখন আমি দুজন লোককেও কাজে লাগাতে পারছি।
তিনি আরো বলেন, চরাঞ্চলের মাটি উর্বর, এতে সেচ ও সারের খরচও কম, এছাড়াও একই সময় এক সাথে একই শ্রমে একাধিক সবজি চাষ করা যায় এবং প্রতিদিন কোন না কোন সবজি বিক্রি করা যায়। তবে খেত থেকে সদরে সবজি নিতে একাধিক পরিবহন ও টোল খরচের কারনে লাভ কম হতো। এখন এই চরেই একটি বাজার হয়েছে সেখানে আমি প্রতিদিন সবজি বিক্রি করছি। এতে করে আর আগের মতো করে উলিপুর চিলমারী সদরে যেতে হচ্ছেনা। এখন এখানে বড় বড় পাইকার আসলে আমাদের জন্য আরো ভাল হত।
উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রনয় বিষাণ দাস বলেন, চিলমারী উপজেলায় বর্তমানে ৫ থেকে ৭ হাজার সবজি চাষি রয়েছে। চলতি বর্ষা মৌসুমে উপজেলার ৭০ হেক্টর জমিতে সবজি চাষ হয়েছে। সবজি চাষে অধিক মুনাফা পাওয়ায় ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকরা সবজি চাষে আগ্রহী হচ্ছে।