মেহেদী আলী সুজয়, সাতক্ষীরা ১২ ডিসেম্বর ২০২৪ , ১১:৫৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
সাতক্ষীরায় অনৈতিক কর্মকান্ডের অভিযোগ এনে একব্যক্তির নিকট থেকে দুই যুবদল নেতার চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তবে, ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে উদোরপিন্ডি বুদোর ঘাড়ে চাপানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক যুবক। ঘটনাটি গত ৫ডিসেম্বর সাতক্ষীরা শহরের পলাশপোল নিকারিপাড়া এলাকায় ঘটে। তবে তাছিম বাদী হয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ করলে ঘটনাটি ছড়িয়ে পড়ে।
জানা গেছে, সদর উপজেলার লাবসা নলকুড়া গ্রামের জাহাঙ্গীরের ছেলে তাছিম একটি মেয়ে নিয়ে শহরের পলাশপোল নিকারিপাড়া এলাকার আশাশুনি উপজেলার এ সাবেক ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলামের মালিকানাধীন রুপনগর কফি হাউজ নামক পরিত্যাক্ত ওই ঘরে প্রবেশ করে। ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় ওয়ার্ড যুবদল নেতা রাজা ও জীবন সেখানে গিয়ে তাদের ধরে ফেলে। এসময় ওই যুবদল নেতারা তাদের কাছে এক লক্ষ টাকা দাবী করে। কথার একপর্যায়ে জানতে তাছিমের এক চাচাতো ভাই ঘটনাস্থলের মাত্র ১৫গজের মধ্যে বসবাস করে। তখন যুবদল নেতা রাজা তাছিমের চাচাতো ভাই ফিরোজকে জরুরী কাজ আছে বলে ফোনে ডাক দেয়। ফিরোজ ঘটনাস্থলে গিয়ে সব জেনে তার চাচাতো ভাই তোরা একলক্ষ টাকা কেন নিবি? প্রশ্ন করলে একপর্যায়ে তা ৩০হাজার টাকায় রফা দফা হয়। সেই অনুযায়ী যুবদল নেতা রাজা ও জীবন তাছিমকে সাথে নিয়ে শহরের খুলনা রোড এলাকা থেকে ২০হাজার টাকা ও ফিরোজ সাতক্ষীরা জজ আদালতের নাইট গার্ড জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে ৭ হাজার টাকা নিয়ে কোর্ট পার্কে বসে থাকা দুইজনের হাতে তুলে দিয়ে নিষ্পত্তি করে।
সব কিছু মিটে যাওয়ার পর তাছিম বাদি হয়ে যুবদল নেতা রাজা, জীবন ও ফিরোজকে আসামী করে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের পর গত মঙ্গলবার তাদের সকলকে তদন্তকারী কর্মকর্তা এএসআই আলাউদ্দিন তাদেরকে থানায় ডেকে পাঠায়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১২টায় সেখানে হাজির হওয়ার পর সবাই ফিরোজকে জোর পূর্বক ফাঁসিয়ে মূল আসামীদের রক্ষা করে তদন্তকর্মকর্তা ফিরোজকে মোট ৩০হাজার টাকা শনিবারের মধ্যে ফেরতের কথা জানায়।
কিন্তু যারা চাঁদাবাজি করল মূল হোতা যুবদল নেতা রাজা ও জীবনকে রক্ষা করতে কেন মরিয়া হয়ে উঠেছে এ প্রশ্ন রেখেছে অসহায় ফিরোজ ও তার পরিবার।
এব্যাপারে জজ আদালতের নাইট গার্ড তাছিমের পিতা জাহাঙ্গীরের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি সাক্ষাত কওে কথা বলবেন বলে জানায়।
সদর থানার এএসআই আলাউদ্দিনের মুঠো ফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ওখানে তিনজনেই দোষী। তবে, টাকা টাকা ফেরত কে দেবে এমন প্রশ্ন করলে তিনি সাবেক কাউন্সিলর বাবুর কাছে জানতে বলেন।
এব্যাপারে ফিরোজ ও তার পরিবার সফিক তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিতে পুলিশ সুপারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
উল্লেখ্য, তাছিমের বিরুদ্ধে অনৈতিক কাজের একাধিক অভিযোগ ও বলাৎকারের একটি মামলা ছিল।