এম এ কাইয়ুম মাইজভান্ডারী, মুন্সীগঞ্জ ৭ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১০:৪৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে একাধিক ইট ভাটায় দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার ৬ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে উপজেলার বালুচর ইউনিয়েনের চর পানিয়া এলাকার বিসমিল্লাহ ব্রীকস ও লতব্দী ইউনিয়নের রামকৃষ্ণদী এলাকার খাজা ব্রীকস নামের দুটি ইঁটভাটায় ডাকাতি সংঘটিত হয়।এ সময় ডাকাতরা দুটি ইঁটভাটার শ্রমিকদের অস্ত্রের মুখে জিম্মী করে প্রায় ৩ লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা ও ১৬ টি মোবাইল সেট লুট করে নিয়ে গেছে।
এর আগে গত (৭ নভেম্বর) মঙ্গলবার ও (১১ নভেম্বর) শনিবার দুই দফা উপজেলার ৫ টি ইঁট ভাটায় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ সময় ডাকাত দল মোল্লা ব্রিকস,পপুলার ব্রিকস,নুরে মদিনা ব্রিকস সহ কয়েকটি ব্রিকসের শ্রমিকদের টাকা পয়সা স্বর্ণালংকার মোবাইল ছিনিয়ে নিয়ে ১০-১২ শ্রমিক কে মারধর করে গুরুতর আহত করেছে।
চরপানিয়া এলাকার বিসমিল্লাহ ব্রীকসের মালিক মো.কোরবান আলী জানান,‘রাত দেড়টার দিকে ৭/৮ জন ডাকাতদল দেশীয় অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ভাটার ম্যানাজার মো.খলিলকে জিম্মী করে আলমারীর চাবি নিয়ে ৩ লক্ষ টাকা ও শ্রমিকদের কাছ থেকে ৩ টি মোবাইল নিয়ে যায় । এর আগে রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ডাকাত দল রামকৃষ্ণদী এলাকার খাজা ব্রীকসে গিয়ে ঘুমন্ত শ্রমিকদের ডেকে ১৩ টি মোবাইল ও রেজাউল নামে এক সর্দারের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা লুটে নেয়।
খাজা ব্রীকসের ম্যানাজার মো.খালেক মিয়া জানান,রাত সাড়ে ১২ টার দিকে ৭/৮ জনের মুখোশ পড়া ডাকাত দল ভাটার ঘুমন্ত শ্রমিকদের ডেকে তোলে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে ১৩ টি মোবাইল ও রেজাউল নামে এক সর্দারের কাছ থেকে ৭৫ হাজার টাকা নিয়ে যায় ।
সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ মো.মুজাহিদুল ইসলাম সুমন জানান,বিষয়টি আমার জানা নেই তবে সিরাজদিখানে বেশীরভাগ ইঁটভাটাগুলি ধলেশ্বরীর নদীর পাড়ে । আমি এর আগেও বিষয়টি নৌপুলিশকে অবহিত করেছি । আজকের ডাকাতির ঘটনাটি এখনো কেউ আমাকে জানায়নি।