বিবিধ

সিলেট সিটির নতুন মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী

  এস এম রাফি ২১ জুন ২০২৩ , ১০:৩৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) আওয়ামী লীগের প্রার্থী আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ১৮ হাজার ৬১৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী লাঙ্গল প্রতীকের নজরুল ইসলাম বাবুল পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩২১ ভোট।

বুধবার (২১ জুন) রাতে সিলেট সিটি করপোরেশনের রির্টানিং কর্মকর্তা ফয়সাল কাদির আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

বুধবার সকাল ৮টায় সিলেট সিটি নির্বাচন শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে লড়েছেন সাত জন। আগেই নির্বাচন বর্জন করে মাঠ ছেড়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের হাফেজ মাওলানা মাহমুদুল হাসান।

দলীয় মনোনয়নে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন আওয়ামী লীগের আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী, জাতীয় পার্টির নজরুল ইসলাম বাবুল ও জাকের পার্টির মো. জহিরুল আলম। এছাড়া স্বতন্ত্র হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মো. আবদুল হানিফ (কুটু), মো. ছালাহ উদ্দিন (রিমন), মো. শাহ্ জামান মিয়া ও মোশতাক আহমেদ রউফ মোস্তফা। অপরদিকে কাউন্সিলর পদে ৩৬০ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদের মধ্যে ২৭৩ জন সাধারণ ওয়ার্ডে এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে (নারী কাউন্সিলর) ৮৭ জন নারী প্রার্থী।

এর আগে, নির্বাচন কমিশনের মনিটরিং সেল থেকে কোনো অনিয়ম বা বিশৃঙ্খলার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে মিলনায়তনে সিসিটিভি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ শেষে তিনি এ কথা বলেন।

পঞ্চমবারের মতো অনুষ্ঠিত হয়েছে সিলেট সিটিতে নির্বাচন। সিসিক নির্বাচনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৫৩ জন। মোট ৪২ ওয়ার্ডে ভোটকেন্দ্র ছিল ১৯০টি। এর মধ্যে স্থায়ী মোট ভোটকক্ষ ১ হাজার ৩৬৭টি এবং অস্থায়ী ছিল ৯৫টি। ১৭৪৭টি সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে সিসিক নির্বাচনে ভোটগ্রহণ মনিটরিং করা হয়।

দুই সিটির নির্বাচনে ঢাকার ইসি ভবনে মোট ২৩টি ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডের মাধ্যমে একই সঙ্গে ৩৬৮টি সিসি ক্যামেরায় ২৫২০টি ভোটকক্ষ পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতি ডিসপ্লে দশ সেকেন্ড পরপর অটো রোটেড করে ৩৪৫টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করা হয়। প্রতিটি ভোটকক্ষে একটি করে আর কেন্দ্রপ্রতি দুটি করে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ চলে।