এস এম রাফি ১৪ জুন ২০২৩ , ৫:০১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। কৃষি বিভাগের আগের করা তালিকা মিল রেখে নতুন করে কৃষকের তালিকা করারও অভিযোগ ওঠেছে। প্রণোদনার বীজ ও সার খোলা বাজারে বিক্রি করছেন অনেক কৃষকও বলে জানা গেছে। এদিকে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ^াস দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তা।
উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের ১০৫০ জন কৃষকের জন্য রোপা আমন বীজ ও সার এর প্রণোদনা দেয়া হয়। এর মধ্যে থানাহাটে ২৩০, রানীগঞ্জে ২২০, রমনা মডেল ইউনিয়নে ২১০, নয়ারহাটে ১৩০, অষ্টমীরচরে ১৬০ এবং চিলমারী ইউনিয়নে ১০০ জন কৃষকের জন্য বিঘা ও জনপ্রতি ৫ কেজি রোপা আমন বীজ, ১০ কেজি ডিএপি এবং ১০ কেজি এমওপি সার বরাদ্দ রয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০২৩-২৪ মৌসুমে প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে প্রণোদনার বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। এতে তড়িঘড়ি করে বিতরণ ও আগের করা কৃষকের তালিকার সাথে মিল রেখে নতুন কৃষকের তালিকা করা হয়েছে। এসময় তালিকায় স্বজনপ্রীতির মাধ্যমে রাখা হয়েছে নাম। অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধি ও উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের নিজ লাভের জন্য তালিকা করতে নেয় অনিয়মের আশ্রয়। স্থানীয় কিছু ব্যক্তিদের সুপারিশের তালিকাভুক্ত হচ্ছে কৃষকদের নাম। এতে বাদ পড়েছেন প্রকৃত কৃষকরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন কৃষক বলেন, কৃষি অফিসের এবং এলাকার জনপ্রতিনিধিদের ভাগ না দিলে নাম দিতে চায়না, তাই বাধ্য হয়ে চুক্তি করতে হয় এবং বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করতেও হয়।
কিছু অনিয়ম হতে পারে স্বীকার করে রানীগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, তালিকা করেছে বিএস (উপ-সহকারী কর্মকর্তারা) আমি শুধু বিভাজন করে দিয়েছি।
অনিয়ম ঠেকাতে চেষ্টা করছি বলে রমনা মডেল ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম আশেক আকা বলেন, আপনারা তো সব বোঝেন যে কোন বিষয় তালিকা করতে কিছু সমস্যা হয়ে থাকে বিভিন্ন সুপারিশ তো আছে।
উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কবিরুল ইসলাম বলেন, এলাকার জনপ্রতিনিধিদের সাথে নিয়ে তালিকা করা হয়েছে।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি অফিসার কুমার প্রণয় বিষাণ দাস বলেন, তালিকার সময় সুপারিশের কারণে এদিক সেদিক হতে পারে। তবে আমরা সঠিকভাবে তালিকা ও বিতরণ করার চেষ্টা করছি আর অনিয়সের বিষয়টি খতিয়ে দেখব।