চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ১০:০২ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
দুই মালিকের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে ভারত থেকে আমদানীকৃত ১৯৭ মে.টন কয়লা চিলমারী নদীবন্দরে খালাস করতে না পেরে কয়লা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান সংবাদ সম্মেলন করেছেন। দ্বন্দ্বকে ঘিরে আমদানিরকারী প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারকে হাত-পা ও চোখ বেঁধে পণ্যবাহী বাল্কহেড সরিয়ে নেয়া হয়েছে। এদিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনকে লিখিত ভাবে জানিয়েও প্রতিকার পায়নি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৯ টায় প্রেসক্লাব চিলমারীর কার্যালয়ে আমদানিকৃত ১৯৭ মে.টন কয়লা খালাসে প্রশাসনের সহযোগীতা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আর.কে ড্রেজিং এন্ড কনস্ট্রাকশনের প্রতিনিধি মাসুদ কবির রানা।
সংবাদ সম্মেলন মাসুদ কবির রানা বলেন, ভারত থেকে চলতি বছরের ৫ জুন আমদানীকৃত ১৯৭ মেট্রিক টন কয়লা একটি বাল্কহেড করে নিয়ে আসি। যার সরকার কর্তৃক ধার্যকৃত ভ্যাট, ট্যাক্স, এ.আই.টিসহ সরকারের যাবতীয় পাওনাদি পরিশোধত করা হয়েছে।
বাল্কহেডটি চিলমারী ফকিরেরহাট ঘাটে আসলে সরকারী যাবতীয় নিয়ম মেনে কয়লা আনলোড করতে শুরু করি। কয়লা আনলোড করতে গেলে বাল্কহেডের মুল মালিক মো. আনোয়ার হোসেন কয়লা আনলোড করতে বাঁধা দেয়। বাল্কহেডের ভাড়াটে মালিক মো. আনোয়ার হোসেনের সঙে মূল মালিক আনোয়ার হোসেনের লেনদেন থাকায় কয়লা আনলোড করতে বাঁধা দেয়। তারপর বাল্কহেডটি কয়লাসহ জোরপূর্বক কাঁচকোল ঘাটে নিয়ে আসেন তারা।
এরপর পণ্য খালাসির বিষয়ে স্থানীয় জন প্রতিনিধি ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের সমন্বয়ে বৈঠক করে কোন সুফল না পাওয়ায় চিলমারী মডেল থানা এবং জেলা প্রশাসকের নিকট ১৫ সেপ্টেম্বর লিখিত অভিযোগ করি। অভিযোগ করার ১১ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ধরনের ব্যবস্থা নেয়নি প্রশাসন।
মাসুদ কবির রানা আরও উল্লেখ করে বলেন, এই সময়টিতে বাল্কহেডে দায়িত্বরত আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. নুর হোসেনকে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি প্রদান করে এবং গত ২৫ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে তিনটার দিকে তাকে (ম্যানেজার) হাত-পা, চোখ-মুখ বেঁধে মোবাইল কেড়ে নিয়ে বাল্কহেডসহ নিয়ে যায় বাল্কহেডের মালিক ও তার লোকজন।
এরপর বাল্কহেডটি কড়াইবরিশাল এর আগে একটি চরে আটকে যায়। নৌ-পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অজ্ঞাত কারণে বাল্কহেডের ম্যানেজারকে ঘটনাস্থলে রেখে চলে আসে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় ম্যানেজার নুর হোসেন জীবন বাঁচিয়ে অন্য নৌকা যোগে রমনা ঘাটে ফিরে আসে।
কয়লা আনলোডের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং কয়লা আনলোডসহ নিরাপদে গন্তব্যস্থানে পৌঁছাতে সহযোগিতা প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন মাসুদ কবির রানা।