সদরুল আইন, স্টাফ রিপোর্টার ৩ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১০:১৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
আওয়ামী লীগ যে ২৯৮ টি আসনে প্রার্থী দিয়েছে, তাদের মধ্যে অন্তত ৩০ জনকে বসিয়ে দিতে পারে দলটি।
জাতীয় পার্টি এবং ১৪ দলের সাথে আসন সমঝোতার জন্য তাদের ‘ত্যাগ স্বীকার’ করতে হতে পারে। আসন সমঝোতা নিয়ে আওয়ামী লীগ তার শরীকদের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে।
১৪ দলের শরীকরা ‘নৌকা’ প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করলেও জাতীয় পার্টি লাঙ্গল নিয়েই আগামী জাতীয় নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।
তবে জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের যে সব আসনে ‘সমঝোতা’ হবে, সেই সব আসনে আওয়ামী লীগ ‘নৌকা’ প্রতীকে কোন প্রার্থী রাখবে না।
তবে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হবে, তাদের ব্যাপারে অবশ্য আওয়ামী লীগের কোন করণীয় নেই বলেই জানিয়েছে। জাতীয় পার্টির জন্য কটি আসন ছেড়ে দেয়া হবে তা চুড়ান্ত হয়নি।
আওয়ামী লীগ সর্বোচ্চ ২০টি আসনে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দিতে রাজী। তবে জাতীয় পার্টি অন্তত ৫০টি আসন চায়। এনিয়ে এখনও সমঝোতা হয়নি।
আওয়ামী লীগ এবং জাতীয় পার্টি দুই দলই এটিকে বড় সমস্যা হিসেবে দেখছেন না। উভয় দলের নেতারাই বলছেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে তারা সমঝোতায় পৌছতে পারবেন।
জাতীয় পার্টিকে আাওয়ামী লীগ যে আসন গুলো ছেড়ে দিতে পারে বলে এখন পর্যন্ত তথ্য পাওয়া গেছে তার মধ্যে ঢাকার দুটি আসন রয়েছে।
জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেয়া হতে পারে এমন সম্ভাব্য আসনগুলো হলোঃ
কিশোরগঞ্জ-৩ : এই আসনে জাতীয় পার্টির মুজিবুল হক চুন্নুকে ছেড়ে দিতে পারে। এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মো: নসিরুল ইসলাম খান।
ঢাকা-৪ : জাতীয় পার্টির সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে আসনটি ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। এ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সানজিদা খানম।
ঢাকা-৬ : জাতীয় পার্টির কাজী ফিরোজ রশীদকে এই আসনটি আওয়ামী লীগ ছেড়ে দিতে পারে। ফলে এই আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত সাঈদ খোকন মনোনয়ন পাবেন না।
নারায়ণগঞ্জ-৫ : এই আসনে আওয়ামী লীগ কোন প্রার্থী দেয়নি। জাতীয় পার্টির সেলিম ওসমানের জন্য আওয়ামী লীগ আসনটি খালি রেখেছে।
সুনামগঞ্জ-৪ : এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী পীর ফজলুর রহমানকে ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী পি এস সির সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক।
ফেনী-৩ : জাতীয় পার্টির লে: জেনারেল (অব:) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরীকে আসনটি ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মো: আবুল বাশার।
চট্টগ্রাম-৫ : জাতীয় পার্টির নেতা আনিসুল ইসলাম মাহমুদকে আসনটি ছেড়ে দিতে পারে আওয়ামী লীগ। ফলে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোহাম্মদ আবদুস সালাম নৌকা প্রতীক পাবেন না।
কুষ্টিয়া-২ : এই আসনটি জাসদের হাসানুল হক ইনুর জন্য খালি রেখেছে আওয়ামী লীগ।
রাজশাহী-২ : আসনটি ওয়াকার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশার জন্য ছেড়ে দেয়া হতে পারে।
আরো কয়েকটি আসনে সমঝোতা হতে পারে। সমঝোতা হলে জাতীয় পার্টির আসন গুলোতে ‘নৌকা’র প্রার্থী থাকবে না ।
অপর একটি সূত্র জানাচ্ছে, মনোনয়ন ঘোষণার পর কিছু আসনে দলিয় অসন্তুষ্ট দেখা দেওয়ায় ৬ থেকে ৮ টি আসনে প্রার্থি পরিবর্তন করতে পারে আওয়ামী লীগ।
এছাড়া ১৬ ডিসেম্বর বা তার পরে ২৭ স্বতন্ত্র এমপির ব্যাপারে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করবেন দলিয় প্রধান শেখ হাসিনা।