এস এম রাফি ৩ অক্টোবর ২০২৩ , ১১:১৩ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
১৮৯২ সালে পটুয়াখালী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হয়, ৯ টি ওয়ার্ড নিয়ে এই পৌরসভাটি গঠিত। ২০১৪ সালে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল হক রেজা ও সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহানুর রহমান সুজন পটুয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করেন।যে কমিটির সভাপতি সোহেল খান ও সাধারন সম্পাদক মেহেদী হাসান কোয়েল ছিলেন। এর পরে ২০২১ সালে ফেব্রুয়ারী মাসের ১০ তারিখ পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান সিকদার ও সাবেক সাধারন সম্পাদক ওমর ফারুক ইকবাল হোসেন ভূইয়া পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষনা করেন। যেখানে সভাপতি সবুর খান ও শাহেদ গাজীকে সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করার ঠিক তিনদিনের মাথায় ওই কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাবেক সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য্য ।
দীর্ঘ ৯ বছর পরে পটুয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারন সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফের সাক্ষরীত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হয় স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে ছাত্রসমাজ ও তরুন প্রজন্মকে ঐক্যবদ্ধ করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পটুয়াখালী পৌর শাখার সাংগঠনিক গতিশীলতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে আগামী ০৭ অক্টোবর ২০২৩ শনিবার এক বিশেষ কর্মী সভার তারিখ নির্ধারন করা হয়েছে ।
এই খবরে পৌর ছাত্রলীগের প্রায় এক ডজন পদপ্রত্যাশী দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন উপর মহলে।পৌর কমিটির সভাপতি-সম্পাদক হতে জেলা পর্যায়ের জ্যেষ্ঠ নেতাদের মাধ্যমেও চলছে তদবির। তবে পদপ্রত্যাশীদের তালিকায় যাদের নাম শোনা যাচ্ছে- তাদের বিরুদ্ধে রয়েছে নানাবিধ অভিযোগ এবং বিবাহিত,অছাত্র, বিএনপি পরিবারের সন্তান।
এ বিষয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক শাহানুর রহমান সুজন বলেন,আসলে পটুয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের আওতাধীন কিছু কলেজ স্কুল এবং কয়েকটি ইউনিট থাকায় জেলা ছাত্রলীগের নেতারা তাদের নিজেদের বলয় শক্ত অবস্থান রাখার কারনে তারা পৌর ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করেন নাই।
এ বিষয় জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাসান সিকদার বলেন,পৌর ছাত্রলীগের কমিটি না হওয়ার পিছনের তেমন কোনো কারন নেই স্থানীয় রাজনীতির একটা সমস্যা।যেমন আমি দীর্ঘ অনেক বছর পরে পটুয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের কমিটি দিয়েছিলাম যে কমিটির বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিল অনেক বড় বড় নেতারা। তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারন সম্পাদক লেখক ভট্রাচার্য্যকে ফোন দিয়ে তারা এই কমিটি বিলুপ্ত করার ব্যাবস্থা করেছেন।এর পিছনে কারন হচ্ছে তাদের নিজেদের মানুষ নেতা হয় নাই । এছাড়া আপনারা দেখতে পারবেন আমরা যাদেরকে নেতা বানিয়েছি তারা এখনো মাঠে সক্রিয় ছাত্রলীগের রাজনীতি করে।এই সবুর খান এবং সাহেদ গাজীকে কমিটি দিয়েছিলাম ওরা কিন্তু সর্বোচ্চ এক্টিভ এবং ছাত্রনেতা আশা করি ওদের জেলা ছাত্রলীগের নেতা হবার মতো যোগ্যতা ওদের আছে। এইরকম এক এক সময় এক এক জনের কারনেই পৌর ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয় না।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুল ইসলাম বলেন, আসলে বিগত দিনে কি হয়েছে না হয়েছে বলতে পারবো না । আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা অবশ্যই পটুয়াখালী পৌর ছাত্রলীগের সুন্দর কমিটি উপহার দেবো যাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকবে না।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক তানভীর হাসান আরিফ বলেন, পৌর ছাত্রলীগের কমিটিতে বিবাহিত,অছাত্র, বিএনপি পরিবারের সন্তান,পৌর শহরের বাহিরের,চাকরিজীবি, এদের জায়গা কখনোই হবে না ।আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা অবশ্যই ছাত্রলীগের সাথে জড়িত এবং কোনো অভিযোগ নেই তাদেরকে নিয়েই কমিটি গঠন করবো।