আন্তর্জাতিক

মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে চীন : ব্লিঙ্কেন

  সদরুল আইনঃ ২৮ এপ্রিল ২০২৪ , ১০:০৩ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

Oplus_131072

চলতি বছরের নভেম্বরে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে চীন প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপের চেষ্টা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) চীন সফরের শেষ দিন মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ অভিযোগ করেন।

চীন সফরে দেশটির প্রেসিডেন্ট শি চিন পিংসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ব্লিঙ্কেন। নানা বিষয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে চলমান টানাপোড়েনের মধ্যেই চীন সফরে গিয়েছিলেন তিনি।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেন, আসন্ন মার্কিন নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ও হস্তক্ষেপ করার চীনা প্রচেষ্টার প্রমাণ রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে। যদিও এর আগে মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপ না করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।

সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ব্লিঙ্কেন বলেন, আমরা দেখেছি যে, আমাদের নির্বাচনে প্রভাবিত করার প্রচেষ্টা চলছে; সম্ভবত হস্তক্ষেপ করার চেষ্টা চলছে। আমরা এ প্রচেষ্টা দ্রুত বন্ধ হওয়া নিশ্চিত করতে চাই। আমরা খুব সাবধানে নির্বাচনে চীনের হস্তক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছি। এটি আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য।

ব্লিঙ্কেন যখন সিএনএনকে সাক্ষাৎকার দিচ্ছিলেন তখনও শীর্ষ মার্কিন কর্মকর্তারা চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংসহ বিভিন্ন চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে বৈঠক করছিলেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য দুটি বিষয় ছিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাত ও মস্কোকে চীনের সমর্থন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক বছরের কম সময়ের মধ্যে এ নিয়ে দুবার চীন সফর করলেন। গত বছরের নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে বৈঠক করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। তখন চীনের প্রেসিডেন্ট প্রতিশ্রুতি দেন, তার দেশ আমেরিকার নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করবে না।

এরআগে রাশিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে চীনকে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দিয়েছিলেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ার প্রতিরক্ষা খাতে ‘দ্বৈত-ব্যবহারের পণ্য’ সরবরাহের জন্য চীনের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে প্রস্তুত ওয়াশিংটন।

আরটির প্রতিবেদন মতে, চীনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে ব্লিঙ্কেন হুমকির সুরে বলেন, ওয়াশিংটন এরইমধ্যে ১০০টিরও বেশি চীনা সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে এবং দেশটির বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা ও অন্যান্য ব্যবস্থা নিতে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত রয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর হুমকির প্রতিক্রিয়ায় বেইজিং যুক্তরাষ্ট্রকে ভণ্ডামি করার অভিযোগ করেছে। বলেছে, একদিকে ইউক্রেনকে বিলিয়ন ডলার সামরিক সহায়তা দিচ্ছে। অন্যদিকে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে স্বাভাবিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের অযৌক্তিক সমালোচনা করছে।