বিবিধ

  এস এম রাফি ৫ মার্চ ২০২৩ , ৫:০৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

জহির রায়হান কাউনিয়া (রংপুর)প্রতিনিধিঃ কাউনিয়ায় হুকুডাংগা ও নেপতি ডাংগা বিলের তীরবর্তী মৎস্যজীবি সমিতি কে বঞ্চিত করে ৩ কিলোমিটার দুরের মৎস্যজীবি সমিতি কে ইজারা পেতে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠেছে উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে।
লিখিত অভিযোগে জানাগেছে উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম নিজ উপজেলায় কর্মরত। তিনি উপজেলার সারাই ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি প্রভাব খাটিয়ে স্থানীয় সাবেক ইউপি সদস্য মোঃ আফসার আলী ও তার লোকজনের নিকট থেকে বিশেষ সুবিধা নিয়ে নিয়মবহির্ভূত ভাবে জলমহাল ইজারা নীতিমালা/ ২০০৯ উপেক্ষা করে উপজেলা জলমহাল ব্যবস্থাপনা কমিটি কে ভুল বুজিয়ে ৩ কিলোমিটার দুরের ঠাকুরদাশ মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ও ভিতর কুটি তেলিটারী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি ২ টি কে ইজারা প্রদান করে।
কিন্তু যাবতীয় শর্ত পূরণ করেও জলাশয় তীরবর্তী নেপতিডাংগা ও হুকুডাংগার পাড় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি কে ইজারা বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে । এ সমিতি ২টি উক্ত জলাশয় ২ টির তীরবর্তী হওয়ায় সরকারী নিয়ম মেনে দীর্ঘদিন ধরে ইজারা নিয়ে প্রকৃত মৎস্যজীবিরা মৎস্য চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে।
উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের আক্রোশ মূলক বে আইনি কার্যকলাপের কারণে তার বিরুদ্ধে মাছহাড়ী নেপতিডাংগা ও হুকুডাংগার পাড় মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি লিমিটেডের পক্ষে সভাপতি মোঃ দয়াল মিয়া প্রতিকার চেয়ে রংপুর বিভাগীয় সমবায় যুগ্ম নিবন্ধক বরাবরে আবেদন করে। জেলা প্রশাসক, জেলা সমবায় অফিসার কে অনুলিপি প্রদান সহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেছে।
উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম আগামী ৭ মার্চ অনুষ্ঠিত হওয়ার দিন ধার্য্য রয়েছে। জেলা সমবায় অফিসার মোঃ আব্দুস সবুর স্মারক ৪৭৬১.৮৫৫৮.০০০.২৭.০০১.১৪.১৮.১৫২ তাং ২৬-০২-২৩ তারিখে এক পত্রে জেলা সমবায় দপ্তরের উপ-সহকারী নিবন্ধক মোছাঃ রেজিনা সুলতানা কে তদন্ত কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ করেছেন।
উপজেলা সমবায় অফিসার মোঃ জাহাঙ্গীর আলম এ প্রসঙ্গে বলেন. জলাশয় লীজ দেয়ার এখতিয়ার আমার না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরজমিন তদন্ত করে উক্ত জলাশয় লীজ দিয়েছেন।