uadmin ৫ নভেম্বর ২০২৩ , ১১:৩৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
সারাদেশে চলছে ধেয়ে আসা ভয়ংকর গ্রেফতার ঝড় বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে অবৈধ সরকারের ধেয়ে আসা গ্রেফতার ঝড় চলছে। সারা বাংলাদেশকে রক্তাক্ত করেছে এই ফ্যাসিবাদী সরকার। দেশকে বিরোধীদল শূন্য করার প্রক্রিয়া হাতে নিয়েছে তারা। একেবারে নিশ্চুপ, নিস্তব্ধ পরিবেশে তারা নির্বাচনের নামে আরেকটি তামাশা করবেন এবং নির্বাচন কমিশন শেখ হাসিনা যে তালিকা ধরিয়ে দিবেন সেই তালিকা অনুযায়ী বিজয়ী প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করবেন।’
রবিবার (৫ নভেম্বর) বিকেলে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘গোটা জাতিকে ঋণগ্রস্ত করে শেখ হাসিনা তার অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে চাচ্ছেন। মন্ত্রীদের কথাবার্তা শুনলে মনে হয় তাদের মধ্যে সভ্যতা, ভভ্যতা বলে কিছু নেই। পুলিশ, র্যাব, রাষ্ট্রশক্তিকে ব্যবহার করে জনগণের ওপর স্টিম রোলার চালাচ্ছে। এক ভয়ংকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে সরকার।’
নেতাকর্মীদের সতর্ক থেকে রাস্তায় নামার আহ্বান জানিয়ে বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘বিএনপিসহ বিরোধী দলের নেতাকর্মীদেরকে গ্রেফতার করার জন্য সরকার নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চক্রান্ত করছে, তাই সবাইকে শান্তিপূর্ণভাবে রাস্তায় নেমে প্রতিবাদ করে এই অবৈধ সরকারের পতন ঘটাতে হবে। তাছাড়া কারও মুক্তি নেই। কারণ যে দেশের পুলিশ নিজে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায় তারা কখনও জনগণের বন্ধু হতে পারে না। তারা এখন জনগণের প্রতিপক্ষ হিসেবে দাঁড়িয়েছে।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘অদ্ভুত এক সাধারণ সম্পাদক। আগে দস্যু দল তার প্রতিপক্ষকে ধরে নিয়ে মুক্তিপণ আদায় করার সময় একটা অট্টহাসি দিত তিনি (ওবায়দুল কাদের) আজকে সেই ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে মুচকি হাসি দিচ্ছেন। ওবায়দুল কাদেররা আজকে রাষ্ট্রশক্তি পুলিশ র্যাবকে ব্যবহার করে তাদের সাথে যৌথভাবে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করছে আবার মিথ্যা মামলা দিচ্ছে। দেশে এখন ১৯৭১ সালের পরিস্থিতি বিরাজমান। মানুষ কথা বলতে পারছে না। নিজ দেশে স্বাভাবিক ভাবে নির্ভয়ে চলতে পারছে না। টিক্কা খান, নিয়াজী খানের ভূমিকা গ্রহণ করেছে ওবায়দুল কাদেররা।’তিনি বলেন, ‘আমাদের এই শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি চলছে। আগামীকালও আমাদের অবরোধ কর্মসূচি আছে শেষ হলে কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।’
এ সময় রিজভী সারাদেশে দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হামলা মামলার বিবরণ তুলে ধরে বলেন, ‘এপর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যনুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও এর অঙ্গসহযোগী সংগঠনের মোট গ্রেফতার ২৬১ জনের অধীক নেতাকর্মী। ৯ মামলায় মোট আসামি ১ হাজার ৬০ জনের অধীক নেতাকর্মী (এজাহার নামীয়সহ অজ্ঞাত)। এছাড়াও ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে মহাসমাবেশের ৩/৪ দিন পূর্ব থেকে অদ্যাবধি পর্যন্ত মোট গ্রেফতার ৫ হাজার ২৮৪ জনের অধীক নেতাকর্মী। মামলা ১২২টিরও অধিক।’
মোট আহত : ৩৪৯৮ জনের অধিক নেতাকর্মী
মৃত্যু : ১০ জন (সাংবাদিক ১ জন) এবং গত ২৮ ও ২৯ জুলাই ২০২৩ তারিখ হতে অদ্যাবধি বিএনপি’র কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে সারাদেশের প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী
মোট গ্রেফতার : ৭৯৭৪ জন
মোট মামলা : ৫১৫টির অধিক
মোট আসামি : ৩৯ হাজার ৬২০ জন
মোট আহত : ৫৭৯১ জনের অধীক নেতাকর্মী
মোট মৃত্যু : ১০ জন (সাংবাদিক ০১ জন)।