অর্থনীতি

কমেছে বিদেশি অর্থ সহায়তা, বেড়েছে ঋণ

  অনলাইন ডেস্ক ১৫ নভেম্বর ২০২৩ , ৫:৪৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিদেশি অর্থ সহায়তার পরিমাণ কমেছে। বিপরীতে বেড়েছে ঋণ পরিশোধের হার। বিষয়টিকে স্বাভাবিক ভেবে এতে চিন্তিত নয় পরিকল্পনামন্ত্রী। যদিও বিশ্লেষকরা বলছেন, বিদেশি ঋণের ব্যবহারে সতর্কতা বাড়াতে হবে।

স্বাধীনতার পর থেকে গত পাঁচ দশকে দেশের উন্নয়নে বিদেশি ঋণ ও অনুদানের বড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় দর কষাকষি ও বাস্তবায়ন দক্ষতার অভাবে পাইপলাইনে রয়ে গেছে বিপুল পরিমাণ অর্থ। বিপরীতে গত কয়েক বছরে কয়েকটি বড় প্রকল্প বাস্তবায়নের পর চাপ বেড়েছে ঋণ পরিশোধে। যা স্পষ্ট চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্যানুযায়ী, জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ঋণ ছাড় হয়েছে ১২৮ কোটি ১৭ লাখ ডলারের। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৮ কোটি ২৩ লাখ ডলার কম। অথচ একই সময়ে ঋণ পরিশোধ করতে হয়েছে ৮৭ কোটি ৫ লাখ ডলার। যা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ কোটি ডলার বেশি।

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, বিদেশি অর্থ সহায়তা একটু কমলেও ফের বাড়বে। তারা প্রকল্প দিতে চাচ্ছে বরং আমরাই নিচ্ছি না। প্রচুর অর্থ এখন অপেক্ষমাণ এবং আমরা এই অর্থ সহায়তা সাবধানে নিচ্ছি।

আড়াই লাখ কোটি টাকার উপরে ঘাটতি বাজেট নিয়ে যাত্রা শুরু চলতি অর্থবছরের। যা পূরণে নির্ভর করতে হচ্ছে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন উৎসের ওপর। অর্থ মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, মোট ঘাটতির ৪০ শতাংশ বা এক লাখ কোটি টাকা ধার করার লক্ষ্য রয়েছে বিদেশি ঋণের মাধ্যমে। প্রথম প্রান্তিকের প্রবণতা বলছে, সেই অর্জন কঠিন হতে পারে বছর শেষে গিয়ে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অর্থছাড় বাড়াতে হলে সময়মত প্রকল্প বাস্তবায়নে নজর দিতে হবে।

বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) চেয়ারম্যান ড. জায়েদি সাত্তার বলেন, ভৌত অবকাঠামোর ক্ষেত্রে আমাদের আরও বিনিয়োগ দিতে হবে। দেশের অর্থায়নের মধ্যে তা সম্ভব নয়। এর জন্য প্রয়োজন বৈদেশিক অর্থ সহায়তার। তবে হিসাব করে নিতে হবে যেন ভবিষ্যতে কোনো সমস্যা না হয়।