বিবিধ

চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের তীর কেটে চলছে মাটির ব্যবসা হুমকির মুখে ডানতীর রক্ষা প্রকল্প

  এস এম রাফি ৩ জানুয়ারি ২০২৩ , ৫:২৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদ তীরের কৃষি জমি কেটে অবাধে চলছে রমরমা মাটির ব্যবসা।উপজেলার রাজারভিটা এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যাক্তি কাউকে তোয়াক্কা না করে নদী তীর থেকে অবৈধভাবে এসব মাটি কেটে বিক্রি করছে। ফলে নদীতে পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে ওই সব এলাকা নদীতে পরিনত হয়ে যাবে।এতে হুমকীর মুখে পড়বে কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)সোলার সেচ ব্যবস্থা নির্মাণ প্রকল্পের সোলার প্যানেল পাম্প ও শতকোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প,রাজারভিটা ফাজিল মাদ্রাসাসহ তিনটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,বিভিন্ন স্থাপনা ও নদী তীরবর্তি জনপদ এবং আবাদী জমি। উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে কয়েক দফায় আবেদন করেও কোন প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে রাজারভিটা গ্রামের মানুষ।
রোববার সরেজমিন দেখা গেছে,উপজেলার রাজারভিটা এলাকায় পাউবো বাধের ভিতরে ব্রহ্মপুত্র নদের ডানতীর রক্ষা প্রকল্পের সামনে ৩টি জায়গায় নদীর তীর কেটে সারিবদ্ধ ট্রলিতে মাটি নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ছবি তুলতে গেলে ট্রাকটর(ট্রলি) নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। এভাবে মাটি কাটা অব্যাহত থাকায় নদীর তীর সংলগ্ন এলাকা সমুহ নদীর পানির সমান হয়ে যাচ্ছে।এতে সামান্য পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে এসব জমি নদীর সাথে মিশে গোটা এলাকা নদীতে পরিনত হবে মর্মে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এসময় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকে জানান,একটি পয়েন্টে আশাদুর রহমান,শামিউল আলম সপ্নীল,মিঠু মিয়া ও বিদ্যু মিয়া তাদের ভটভটি(ট্রলি) দিয়ে মাটি কেটে অবাধে বিক্রি করছে।
ট্রলিতে মাটি কাটার ছবি উঠাতে দেখে ইউনুছ আলী, সহ বেশ কয়েকজন এগিয়ে এসে বলেন,নদীর এই তীরটি আমাদের গ্রামের প্রটেকশন হিসাবে কাজ করছে এছাড়াও সরকারীভাবে দেয়া সোলার সেচ ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন রকম ফসল উৎপাদন করছিলাম।এভাবে তীর থেকে মাটি কেটে নিলে নদীর ভাঙ্গন তীব্র আকার ধারনসহ হুমকীর মুখে পড়বে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন(বিএডিসি)’র কুড়িগ্রাম জেলার সদর,উলিপুর ও চিলমারী উপজেলার চরাঞ্চলে পোর্টেবল সেচ বিতরণ সেচ ব্যবস্থা নির্মানের মাধ্যমে সেচ এলাকা সম্প্রসারণ কর্মসূচীর আওতায় ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে .৫কিউসেক সোলার সেচ নির্মাণ প্যানেল,শতকোটি টাকা ব্যয়ে চলমান ব্রহ্মপুত্রের ডানতীর রক্ষা প্রকল্প,বিভিন্ন স্থাপনাসহ নদী তীরবর্তি জনপদ ও সরকার ঘোষিত নৌ-বন্দর পুনঃস্থাপনের পরিকল্পনা। এলাকাবাসী কয়েক দফায় নদী,কৃষি জমি ও বিএডিসি চর উন্নয়ন সোলার প্যানেল পাম্প ভাঙ্গন প্রতিরোধ কল্পে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন করেও প্রতিকার না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েছে রাজারভিটা গ্রামের মানুষ। থানাহাট ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ড মেম্বার মো.মাহফুজার রহমান জানান,এই এলাকায় সরকারীভাবে কৃষকদের কৃষি কাজে ব্যবহারের জন্য তিনটি সোলার সেচ প্রদান করা হয়েছিল। প্রায় কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত সোলার সেচ তিনটি রক্ষক আশাদুজ্জামান,ডালিম ও সপ্নীল। তারা নিজেরাই মাটির ব্যবসায় নিয়োজিত। এখান থেকে মাটি কাটার ফলে সোলার তিনটিসহ ডান তীর রক্ষা প্রকল্প হুমকীর মুখে রয়েছে।
মাটি ব্যবসায়ী মো.বিদ্যুত মিয়া জানান,চরটি নদীতে ভেঙ্গে যেতে পারে তাই আমাদের জমি থেকে একটি পয়েন্টের মাধ্যমে মাটি বিক্রি করছি। শামিউল আলম সপ্নীল বলেন,আমার গাড়ী ভাড়া নিয়ে মানুষ মাটি বিক্রি করে। আমার কোন পয়েন্ট নেই,বিদ্যুত চাচার পয়েন্ট আছে।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মাহবুবুর রহমান জানান,বিষয়টি আমার জানা ছিল না খোজ নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।