সদরুল আইন, স্টাফ রিপোর্টার ১৮ ডিসেম্বর ২০২৩ , ১:৩৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত শামীম হক ওরফে হল্যান্ড শামীমের মনোনয়নপত্র বাতিলই থাকবে বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এর ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তিনি। সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিচারপতি ইকবাল কবীর ও মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ দ্বৈত নাগরিকত্ব থাকায় এ আদেশ দেন।
এ সময় হাইকোর্ট শামীম হককে বলেন, দুই নৌকায় পা দিয়ে নির্বাচন হয় না। শামীম হক বলেন, মাই লর্ড আমি দুই নৌকা ত্যাগ করে এখন এক নৌকাতেই পা দিয়েছি। এ কথার প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট বলেন, এভাবে নির্বাচন হবে না।
১৫ ডিসেম্বর ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত শামীম হক ওরফে হল্যান্ড শামীমের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
শামীম হক নেদারল্যান্ডসের নাগরিক। এমন অভিযোগ করে নির্বাচন কমিশনে প্রার্থিতা বাতিলের জন্য এ. কে. আজাদের পক্ষে আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া শুক্রবার আপিল আবেদন জমা দিলে এ সিদ্ধান্ত নেয় ইসি।
সেই সময় আইনজীবী মো. গোলাম কিবরিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘২০২১ বা ২০২২ সালে শামীম হক বাংলাদেশি পাসপোর্টের জন্য আবেদন করেন। তার ওই আবেদনে উল্লেখ করেন তিনি নেদারল্যান্ডস- এর নাগরিক।
এ কাগজের ওপর ভিত্তিতেই আমরা ইসিতে কাগজপত্র পেশ করি। এ আপিলের প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে এর যথার্থতা যাচাই করার জন্য নির্দেশ দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘কিন্তু মজার বিষয় হচ্ছে শামীম হকের তরফ যে কাগজপত্র জমা দিয়েছেন, সে কাগজে তিনি নেদারল্যান্ডস নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য ঢাকাস্থ ডাচ দূতাবাসে আবেদন করেছেন চলতি মাসের ৪ ডিসেম্বর।
কিন্তু মনোনয়ন দাখিল করেছেন ৩০ নভেম্বর। এরপর ১৪ ডিসেম্বর ঢাকাস্থ ডাচ দূতাবাস তাকে (শামীম হক) চিঠি পাঠায় যেন এই এটাচ ফর্ম ফিলাপ করে দূতাবাসে আসতে হবে নাগরিকত্ব বাতিলের জন্য।’
গোলাম কিবরিয়া বলেন, ‘আমরা ওনারি (শামীম হক) কাগজপত্র দাখিল করে প্রমাণ করি ১৪ ডিসেম্বর অবধি ওনার (শামীম হক) নাগরিকত্ব বাতিল হয়নি। ওনার কাগজপত্রে ওপর নির্ভর করেই আপনারা আপিল নিষ্পত্তি করতে পারেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) এসব বিবেচনা নিয়ে আমাদের আপিল মঞ্জুর করেন।’
সংবিধানের ৬৬ (২) (গ) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘কোনো ব্যক্তি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হইবার এবং সংসদ সদস্য থাকিবার যোগ্য হইবেন না, যদি তিনি কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকত্ব অর্জন করেন কিংবা কোনো বিদেশি রাষ্ট্রের প্রতি আনুগত্য ঘোষণা বা স্বীকার করেন।’
সংবিধানের উক্ত অনুচ্ছেদের অনুরূপ বিধানই গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশের ১২(১)(৬) অনুচ্ছেদে সন্নিবেশিত হয়েছে।