সারাদেশ

গেলো বছরে ঝিনাইদহে ঝরেছে ১০৯ প্রাণ

  ইমন আলী, ঝিনাইদহ ৬ জানুয়ারি ২০২৪ , ১:১৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

ঝিনাইদহে বিদায়ী বছরে (২০২৩ সালে) বিভিন্ন সময়ে সড়কে ঝরেছে ১০৯ টি তাজা প্রাণ। এ সময় আহত হয়েছে হাজারেরও বেশী সাধারণ মানুষ। এ সকল সড়ক দূর্ঘটনার মধ্যে একই পরিবারের ৪ জনসহ ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে কয়েকটিতে। প্রত্যেকটি ঘটনা ছিলো এক একটি পরিবারের জন্য শোকের। এসকল ঘটনায় বোন হারিয়েছে স্বামী, ভাই হারিয়েছে ভাই, পিতা হারিয়েছে সন্তান, সন্তান হারিয়েছে পিতাকে। প্রত্যেকটি ঘটনাই ছিল বিষাদের।

ঝিনাইদহ জেলা পুলিশের দেয়া তথ্য, হাসপাতালসহ বিভিন্ন সুত্রে জানা যায়, বিদায়ী বছরে ঝিনাইদহ জেলার ৬ উপজেলায় নিহতের মধ্যে সদর উপজেলায় ৩৬ জন, হরিণাকুন্ডু উপজেলায় ৪ জন, কালীগঞ্জ উপজেলায় ১৮ জন, মহেশপুরে উপজেলায় ১৫ জন, শৈলকুপায় উপজেলায় ২০ জন ও কোটচাঁদপুরে উপজেলায় ১৬ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে সদর উপজেলায় সবচে বেশি এবং হরিনাকুন্ডুে কম মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জেলার কোটচাঁদপুরে একই পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৭ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়।

আরো জানাযায়, একাধিক মৃত্যুর রেকর্ড রয়েছে সদর উপজেলার কয়ারগাছি স্থানে আব্দুর রাকিব ও শাকিল, কালীগঞ্জের মোবারকগঞ্জ চিনিকলের সামনে স্ত্রীকে ডাক্তারের নিকট যাওয়ার পথে সদর উপজেলার বিষয়খালী গ্রামের স্বামী ছাবদার হোসেন ও স্ত্রী পারভিনা খাতুনের মৃত্যু হয়। সদর উপজেলার নলডাঙ্গা গ্রামে ইমন ও আজিম, হাটগোপালপুরে নাজমুল ও নিপুন শেখ, শৈলকুপার গাড়াগঞ্জে খোকন ও মহাদেব কুমার, মহেশপুরের ভৈরবায় ইমরান ও নাজিবুর, সদর উপজেলার আটলিয়া গ্রামে দাড়িয়ে থাকা পাখিভ্যানে ট্রাক চাপায় রিংকী খাতুন ও সাজেদুল ইসলামের মৃত্যু হয়। কালীগঞ্জের পিরোজপুর বটতলায় আবুল কালাম, শরীফা খাতুন ও অরো দাস এবং একই উপজেলার বেজপাড়া নামক স্থানে উজ্জল শেখ ও আমানুর রহমান নিহত হন।

এ প্রসঙ্গে ঝিনাইদহ হাইওয়ে পুলিশের ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সড়ক মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচলের বিষয়ে শুধু ঝিনাইদহে বন্ধ হলে হবে না। সারা দেশেই অবৈধ যান চলাচল বন্ধ করতে হবে। এ জন্য সড়ক ও সেতু মন্ত্রনালয় কাজ করছে। তারপরও আমরা সড়কগুলো অবৈধ যানমুক্ত করতে কাজ করছি।

ঝিনাইদহ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ)’র সহকারী পরিচালক আতিয়ার রহমান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনা রোধে বিআরটিএ সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণসহ বিভিন্ন কর্মসুচি চালিয়ে যাচ্ছে। তার দপ্তর প্রতি মাসেই চালকদের দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষন দিচ্ছেন। এছাড়া তারা অবৈধ যানের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করছেন।