আতিকুর রহমান আতিক ১০ জানুয়ারি ২০২৪ , ১২:০৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
বহুল আলোচিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশ রেকর্ড সংখ্যক ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এক কথায় বলতে গেলে, পলাশ ঝড়ে উড়ে গেছে বাকি সব প্রার্থী। বিরোধী পক্ষের পরিকল্পনা, দলের চিহ্নিত কিছু সুবিধাবাদী মানুষের চক্রান্ত কোন কিছুই জনগণকে বিভ্রান্ত করতে পারে নি। মানুষ শান্তি চায়, নিরাপত্তা চায়, মাদক ও সন্ত্রাসমুক্ত সুশৃঙ্খল সমাজব্যবস্থা চায়। বিপ্লব হাসান পলাশের কিছু নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি জনগণকে ব্যাপকভাবে উদ্বুদ্ধ করেছে নৌকা মার্কায় আস্থা রাখতে। এর মধ্যে অন্যতম হলো, পিছিয়ে পড়া এই অঞ্চলের জরুরি প্রয়োজন নদীভাঙন রোধ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন। বিপ্লব হাসান পলাশের প্রতিটি গ্রাম থেকে উপজেলা সদরের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের ওয়াদা মানুষের মনে নতুন আশা জাগিয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ স্লোগানের বাস্তব রূপায়ন হবে বলে যোগাযোগবিচ্ছিন্ন অঞ্চলের লোকজন বিশ্বাস করেন। সেতু ও কালভার্টের অভাবে যেসব এলাকার লোকজন উপজেলা সদরে যাতায়াত করতে পারেন না সেসব এলাকায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ হবে বলে জনতা আশাবাদী।
কুড়িগ্রাম-৪ আসন তথা চিলমারী রাজিবপুর রৌমারী অঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সংকট প্রবল। বিপ্লব হাসান পলাশ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি শিক্ষিত, অর্ধ শিক্ষিত ও নিরক্ষর প্রতিটি স্তরের মানুষের জন্য সাধ্যমতো কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ কর্মী তৈরি করে বিদেশে রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রেরণের মাধ্যমে চিলমারী, রাজিবপুর ও রৌমারী অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভিত মজবুতকরণের সঙ্গে দেশের অর্থনৈতিক চাকা আরও বেগবান করা এবং কুড়িগ্রাম-৪ আসনে একটি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ গ্রহণ করবেন বলে তিনি ওয়াদা দিয়েছেন যেখানে প্রায় ৪০ হাজার লোকের কর্মের ব্যবস্থা করা সম্ভব। জনগণ অপেক্ষাকৃত তরুণ এবং বিশ্বস্ত এই রাজনৈতিক নেতার কথায় বিশ্বাস করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকা মার্কার পক্ষে ব্যালট বিপ্লব ঘটিয়েছেন।
এছাড়াও, বিপ্লব হাসান পলাশ নদীভাঙন প্রতিরোধে নদীশাসন করবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। নদী ভাঙন যেন কুড়িগ্রামবাসীর ভাগ্যের লিখন। প্রতি বছর নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায় এখানকার অনেক এলাকা। চাষের জমি, বসতভিটা হারিয়ে নিঃস্ব মানুষগুলো খড়কুটোর বাসা বাঁধে এক চর হতে অন্য চরে। কখনো কখনো সব হারিয়ে পরের জায়গা-জমিতে আশ্রয় নিতে হয় কিংবা পথে পথে কাটাতে হয় দিনরাত্রি। পাশাপাশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, চিকিৎসাকেন্দ্র, ধর্মীয় স্থাপনা, হাটবাজার সব কিছুই নদীতে হারিয়ে যায়। নদী ভাঙনের ফলে কৃষিকাজ স্থবির হয়ে যায় এবং এসব জনপদে দেখা দেয় খাদ্য ও পুষ্টির ঘাটতি। চিলমারী, রাজিবপুর, রৌমারী বাসীর কাছে সবচেয়ে আতঙ্কের নাম নদীভাঙন। নদী ভাঙনের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা শেখ হাসিনা মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী বিপ্লব হাসান পলাশে আস্থা রেখেছেন ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে।
অন্যান্য প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ও চাঁদাবাজি দমন, মাদকের করাল গ্রাস থেকে তরুণ সম্প্রদায়কে রক্ষা, চিকিৎসা ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং রুচিশীল বিনোদন ব্যবস্থার বিকাশসাধনসহ যুগোপযোগী বিভিন্ন উদ্যোগের আশ্বাস। জনগণ মনে করেন, দেশের সবচেয়ে গরীব এই জনপদের উন্নয়নের জন্য এমপি বিপ্লব হাসান পলাশকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা যদি মন্ত্রী হিসেবে মনোনীত করেন তাহলে তাদের সকল সমস্যার সমাধান আরও বেশি বেগবান হবে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী অ্যাডভোকেট বিপ্লব হাসান পলাশ মন্ত্রী হলে তিনি যেমন নিজ আসনের মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের সংগ্রামে কাজ করবেন, পাশাপাশি তিনি সমগ্র দেশের নিপীড়িত অবহেলিত মানুষের ভাগ্যোন্নয়নের সারথি হবেন এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির গৌরব আরও বৃদ্ধি করবেন। সেজন্য গঠিত হতে যাওয়া নতুন মন্ত্রিসভায় তারা বিপ্লব হাসান পলাশকে মন্ত্রী হিসেবে পাওয়ার স্বপ্ন দেখতে আরম্ভ করেছেন এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাক বিষয়টি বিবেচনা করবেন বলে তারা আশাবাদী।