কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ৬:৩৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
সীমান্তবর্তি জেলা কুড়িগ্রাম। ১৬ টি নদ নদী বেষ্টিত এ জেলায় রয়েছে প্রায় সাড়ের চার শতাধিক চরাঞ্চল।দারিদ্র্য পীড়িত এ অঞ্চলের ২৪ লাখ মানুষের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কুড়িগ্রাম। অথচ এই সরকারি হাসপাতালে দীর্ঘ চার বছর ধরে নেই চক্ষু চিকিৎসক।চিকিৎসকের অভাবে সরকারি চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত রোগীরা। উপায়ন্তর না পেয়ে চোখের চিকিৎসা নিতে যেতে হচ্ছে বেসরকারি হাসপাতাল অথবা বিভাগীয় শহর রংপুরে।ফলে দারিদ্র্য পীড়িত এ অঞ্চলের মানুষের চোখের চিকিৎসায় গুনতে হচ্ছে বাড়তি খরচ।এমন পরিস্থিতিতে চক্ষু চিকিৎসক সংকটে দ্রুত সমাধান চাচ্ছেন রোগী ও স্বজনরা।
জানা গেছে, কুড়িগ্রামে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল কুড়িগ্রামে বছরের পর বছর ধরে চলছে চিকিৎসক সংকট। পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ। বিশেষ করে চক্ষু চিকিৎসক, অর্থোপ্যাডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসকের গুরুত্বপূর্ণ পদের মধ্যে চক্ষু চিকিৎসক একজনও নেই।অর্থোপ্যাডিক্স ও মেডিসিন চিকিৎসক রয়েছে মাত্র একজন করে।জেলার বৃহত্তম হাসপাতালে পর্যাপ্ত চিকিৎসক না থাকায় ভোগান্তি পড়েছে জন সাধারণ। তবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে চিকিৎসকের চাহিদা প্রতি বছর পাঠানো হলেও কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক সংকট দুর হচ্ছে না।
আরেকজন চোখের রোগী মোঃ শাহাজাহান আলী বলেন, আমার চোখে ছানি পড়া রোগ।সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক না থাকায় বেসরকারি হাসপাতাল থেকে চোখের অপারেশন করে নিয়েছি।আমরা গরীর মানুষ।গরু বিক্রি করে বেসরকারি হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিয়েছি।হাসপাতালে থাকা খাওয়ায় প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।হাসপাতালে যদি একজন চোখের চিকিৎসক থাকতো তাহলে আমাদের এমন দূর্ভোগ পোহাতে হতো না।
চোখের সমস্যা নিয়ে আসা মোছাঃ কল্পনা খাতুন বলেন, কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে চোখের চিকিৎসা নিতে এসেছি।গত তিন ধরে চোখের তীব্র ব্যথা এখানে চোখের ডাক্তার নেই।চোখের চিকিৎসা নিতে রংপুর যেতে হচ্ছে। বাড়ির পাশে এত বড় হাসপাতাল অথচ চোখের চিকিৎসা জন্য একজন ডাক্তারও নেই।
কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মোঃ শাহীনুর রহমান সর্দার (শিপন) বলেন,জেনারেল হাসপাতালে দীর্ঘ চার বছর ধরে চক্ষু চিকিৎসক নেই। আমরা স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ে চক্ষু চিকিৎসকের চাহিদা পাঠিয়েছি।আশা করছি দ্রুত এর সমাধান হবে।