uadmin ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ , ১০:৩৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী প্রতিনিধি:চিলমারীতে ভাঙ্গন কবলিত চিলমারী ইউনিয়ন রক্ষায় বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহা করে ব্যক্তি উদ্যোগে ব্রহ্মপুত্র নদের চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তীরে ৩ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করা হয়। আজ শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে উক্ত কাজের উদ্বোধন করেন চিলমারী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সহযোগী অধ্যাপক মো: রুকুনুজ জামান শাহীন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান আজাদ (জামান) মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আছমা বেগম চৌধুরী,থানার হাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো:আ:রাজ্জাক মিলনসহ চিলমারী ইউনিয়নের শতশত নারী পুরুষ।
অবহেলিত চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তীরে বাঁধ নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাবে ২টি কমিউনিটি ক্লিনিক,৭টি সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয়, ১টি জুনিয়র হাই স্কুল ও মসজিদ-মাদ্রাসাসহ কয়েক হাজার বসতবাড়ি এবং হাজার হাজার একর ফসলী জমি। দীর্ঘ ২৫ বছর এই ইউনিয়ন এবং পাশ্ববর্তী অষ্টমীরচর ইউনিয়নের প্রায় ৮ হাজার পরিবার একইসঙ্গে বসবাস করে আসছে । কিন্তু গত বছরের বন্যায় চিলমারী ইউনিয়নের পশ্চিম তীরের প্রায় ১ হাজার একর আবাদি জমি ১২৫ টি পরিবারের বসতভিটা নদী গর্ভে বিলিন হয়ে যায়। বসতভিটা এবং আবাদি জমি হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়ে পরিবার গুলো।
দীর্ঘদিন ধরে নদী ভাঙ্গণ হলেও ভাঙ্গন রোধে কোন কাজ না হওয়ায় এই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এলাকাবাসীর নিকট সহযোগিতা চান।এলাকাবাসীর শ্রম এবং অর্থ দিয়ে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। প্রতিটি গ্রামে গঠন করা হয় নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ কমিটি।উক্ত কমিটির সদস্যরা এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে সেচ্ছায় কাজ করবে।
ভাঙ্গণ রোধে বাঁধের কাজ শুরু হওয়ায় খুশি নদী ভাঙ্গন কবলিত এলাকাবাসী।
উক্ত ইউনিয়নের বাসিন্দা মো: নূর বক্ত বলেন,আমরা নদী ভাঙ্গনে কারনে একেবারে নিঃশ্ব। সরকারিভাবে নদী ভাঙ্গন রোধে কোন কাজ না হওয়ায় আমরা এলাকাবাসী এবং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের নিজ উদ্যোগে নদী ভাঙ্গন রোধের কাজ শুরু করে দিয়েছি,কাজ শুরু হওয়ায় আমরা খুশি। এখন আমরা নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা পাব।
কারমাইকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের সাবেক শিক্ষার্থী রোকেয়া ইসলাম বলেন,বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে এই নদী ভাঙ্গন প্রতিরোধ বাঁধ তৈরী করা হচ্ছে। আমার বিশ্বাস বাম্বু বান্ডেলিং প্রযুক্তি ব্যাপক ভাবে সফল হবে। এই প্রযুক্তি ব্যবহা করে স্বল্পব্যায়ে নদী ভাঙ্গণ রোধে সফল হবে।
ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো: আমিনুল ইসলাম বলেন,নদী ভাঙ্গনের কারনে আমার ইউনিয়নের হাজার হাজার পরিবার জেলার বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়েছে। এখনও ৪টি ওয়ার্ড নদী ভাঙ্গনের ঝুকির মধ্যে আছে। বাঁধ নির্মাণ সম্পূর্ণ হলে আমার ইউনিয়নসহ পাশ্ববর্তী অষ্টমীরচর ইউনিয়নের ৭/৮হাজার পরিবারসহ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান,কমিউনিটি ক্লিনিক, ভূমি অফিসসহ বিভিন্ন স্থাপনা নদী ভাঙ্গণ থেকে রক্ষা পাবে। আমি সরকারের সহযোগিতা কামনা করছি।
আমার জন্মস্থান এটা,আমি চেষ্টা করব চরাঞ্চলের মানুষের সবধরনের সমস্যা সমাধানে তাদের পাশে থাকতে।