সারাদেশ

চিলমারীতে বন্যায় ব্যাপক ফসলের ক্ষতি

  চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ১৭ জুলাই ২০২৪ , ৪:১৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে বন্যায় ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ায় ক্ষতিগ্রস্থ ফসল ভেসে উঠতে শুরু করেছে। পানির নিচ থেকে ভেসে উঠছে পাঠ, আমন বীজতলা, বেগুন ও মরিচের ক্ষেত সহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেত। ভেসে গেছে মাছের খামার। নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে অসংখ্য ঘর বাড়ি।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমন বীজতলা ৪৬ হেক্ট্রর, পাট ক্ষেত ১৫০ হেক্ট্রর, আউশ ক্ষেত ৬০ হেক্ট্রর, সবজী ৬৮ হেক্ট্রর, মরিচ ১ হেক্ট্রর তিল ৩৩হেক্ট্রর, চিনা ৮২হেক্ট্রর জমির ফসল সম্পূর্ন রূপে নষ্ট হয়েছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ৬হাজার ৮শ কৃষক।

উপজেলা বজরা তবকপুর এলাকার মরিচ চাষী আহাম্মদ আলী জানান, তিনি ১৫শতক জমিতে মরিচের চাষ করেছেন। খরচ হয়েছে ৫০ হাজার টাকা। মরিচের ফলনও ভালো হয়েছিল। মরিচ বিক্রি করতে পারলে ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা পাওয়া যেত। বন্যায় খেতটি সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়ে যায়।

নয়ারহাট চরাঞ্চলের খেদাইমারী এলাকার মাহাফুজুর রহমান জানান, তার ৫ একর জমিতে তোষা পাটের চাষ করেছিল। পাট ক্ষেত বন্যার পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় সম্পূর্ণ রূপে নষ্ট হয়েছে।

মৎস অফিস জানায়, ৬০ হেক্ট্রর জমির পুকুর ডুবে গিয়ে বন্যার পানিতে মাছ ভেসে গেছে। এতে করে ৪১১ জন মৎস চাষি সম্পূর্ণ রূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অপর দিকে নদী ভাঙ্গনের ফলে ২১২টি ঘর নদী গর্ভে বিলিন হয়ে গেছে। এ ছাড়াও সরকারী ৪২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের আংশিক, মাঠ ও যোগাযোগের রাস্তা সম্পূর্ণ রূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বীজ-সার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। গৃহহীনদের পূনর্বাসনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে।