চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ , ৮:৪২ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব উপলক্ষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। এরই মধ্যে প্রতিমা তৈরির ৭০ শতাংশ কাজ শেষ, এরপর রংতুলির কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন কারিগররা। অপরদিকে এ উৎসবকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সর্বাত্মক নজরদারি রাখবেন বলে জানিয়েছেন।
হিন্দু শাস্ত্র মতে, আগামী ৯ অক্টোবর ষষ্ঠী পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে এবারের শারদীয় দুর্গোৎসব। এ বছর ১২ অক্টোবর নবমী ও একই দিনে বিজয়া দশমী অনুষ্ঠিত হবে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, দেবী দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী, গণেশ, কার্তিকসহ নানা ধরনের প্রতিমা তৈরির কাজ করছেন কারিগররা। যেন দম ফেলার ফুরসত নেই তাদের। প্রতিমা তৈরির মূল কাঠামোর কাজ শেষের দিকে। কাজের চাপ বাড়তে থাকায় পুরুষ কারিগরদের এ কাজে সহায়তা করছে গৃহবধূরা। তবে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত বাঁশ, কাঠ, খড়, রংসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় খুব একটা লাভ হয় না বলে জানান কারিগররা।
প্রতিমা তৈরির কারিগর শ্রী বিমল চন্দ্র মহন্ত ও শ্রী সুমন চন্দ্র মহন্ত বলেন, চলতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিমা তৈরি হচ্ছে। এসব প্রতিমা স্থানীয় উপজেলা সহ বেশ কয়েকটি উপজেলায় সরবরাহ করা হবে। তবে প্রতিমা তৈরির কাজে ব্যবহৃত জিনিসপত্রের দাম বাড়ায় প্রতিমা বিক্রি করে খুব একটা লাভ হবে না।
উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সহ সভাপতি তপন কুমার রায় জানান, এ বছর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ২২টি মণ্ডপে দুর্গাপূজার আয়োজন করা হচ্ছে। এবাবের দুর্গোৎসব আনন্দমুখর ও নির্বিঘ্ন করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হচ্ছে।
চিলমারী মডেল থানার ওসি প্রাণকৃষ্ণ দেবনাথ জানান, পুজা উৎযাপন উপলক্ষে পুলিশ প্রশাসন সেনাবাহিনী সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সকলেই তৎপর রয়েছে। চিলমারীতে ইতিপূর্বে কোন ধরনের অপ্রীতিকর কোন ঘটনা ঘটেনি আমরা আশা করছি এধরনের কোন ঘটনা ঘটবে না। এছাড়াও প্রতিটি পূজা মন্ডপে জরুরী নম্বর দেয়া থাকবে। যদি কোথাও কোন সমস্যা মনে হয় আমাদের অবগত করলে তাৎক্ষণিক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।