স্বামী, সন্তান ও সংসারের মঙ্গলের জন্য সূর্য্য দেবতার কৃপালাভের আশায় হিন্দু সম্প্রদায়ের নারীরা নিজ নিজ বাড়ী থেকে ডালায় কুলা ভর্তি বিভিন্ন ফলমূল, নিজের তৈরি বিভিন্ন মিষ্টি, মিষ্টান্ন, আটার তৈরি ঠেকুয়াসহ বিভিন্ন প্রসাদ সাজিযয়ে গত বৃহস্পতিবার ( ৭ নভেম্বর ) বিকেলে নদীর তীরে সূর্য্য দেবতার কৃপা লাভের আশায় সূর্য্যরে দিকে তাকিয়ে প্রার্থনা করেন উপবাস থাকা নারীরা। সূর্যাস্তের পর নারীরা কুলার প্রসাদ ডালায় উঠিয়ে নিয়ে ফিরে যান নিজ নিজ বাড়ীতে। পরদিন আজ শুক্রবার (৮ নভেম্বর) রাত দুইটার পর থেকে আবারো ফিরে আসেন নদীর তীরে কুলার প্রসাদ সাজিয়ে প্রতিক্ষায় থাকেন সুর্য্যে উঠার। সূর্য্য ওঠার পর থেকেই নদীর তীরে অবস্থানরত নারীরা সূর্য্য দেবতার কৃপালাভের জন্য নদীতে স্নান শেষে কুলায় ভর্তি প্রসাদ নিয়ে অর্ঘ দেন সূর্য্য দেবতার উদ্দেশ্যে প্রসাদ অর্ঘ শেষে বিবাহিতা নারীরা একে অপরকে সিঁদুর পরিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। বর্তমান সময়ে পুজা উদযাপনে কেমন পরিবেশ রয়েছে সে বিষয়ে পুজা দর্শনে আসা দর্শনার্থী ও পুজা উদযাপন কমিটির সদস্যরা বলেন।
ফুলবাড়ী উপজেলা কেন্দ্রী কালী মন্দির পরিচালনা কমিটির সদস্য সঞ্জয় প্রসাদ গুপ্ত বলেন, সূর্য্য সূর্য্যপোসনার উৎসব ভারতে বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তর প্রদশসহ নেপালের অবাঙালি হিন্দু ধর্মালম্বীরা পালন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় স্থানীয় ভাবে এই সূর্য্যপূজাকে স্থানীয়াবে ছট পুজা বলা হয়। এবং সেটা প্রতিবছর ছট পূজার আয়োাজন করা হয়। ফুলবাড়ী কেন্দ্রীয় কালী মন্দিরের প্রধান পূরহিত শ্রী সুদামা উপাধ্যয় বলেন, সূর্য্য পূজা (ছট পূজা) মূলত অবাঙালি হিন্দু ধর্মালম্বী নারীরা স্বামী, সন্তান ও সংসারের মঙ্গলার্থে সূর্য্য দেবের কৃপা লাভের আশায় নদীর তীরে সূর্য্য পূজা (ছট পূজা) করে থাকেন।