চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ১৯ নভেম্বর ২০২৪ , ৫:১৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের চিলমারী রাতের আধারে রোপা আমন ধান জমি থেকে কেটে নেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। এঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার বিচার চেয়ে চিলমারী মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ভোর রাতে উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মুদাফৎথানা সরকারপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চিলমারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নাজমুস সাকিব সজিব।
ভুক্তভোগীর নাম মাসুদ রানা। তিনি ওই ইউনিয়নের মুদাফৎথানা সরকারপাড়া এলাকার তহছিন আলীর ছেলে।
অভিযুক্তরা হলেন- মোঃ সাইদুল ইসলাম (৪৭), মোঃ আমিনুল ইসলাম (৫০), মোঃ বিপ্লব মিয়া (২৫), মোঃ ফরহাদ মিয়া (২৫), মোঃ আনজু মিয়া (৪৫), ৬। মোঃ বাবলা মিয়া (৩২), মোঃ ফারুক মিয়া (২৩), মোঃ রাহুল মিয়া (২২), মোছাঃ মারুফা বেগম (৪০), মোঃ রুবিনা বেগম (৫০), মোঃ রহিমা বেগম (৪৮), মোছাঃ ফরিদা বেগম (৪২) ও মোছাঃ সাহেদা বেগম (৬৫)। সকলেই মুদাফৎথানা সরকারপাড়া এলাকার বাসিন্দা।
লিখিত অভিযোগে মাসুদ রানা বলেন, অভিযুক্তরা সকলেই মামলা বাজ, দাঙ্গাবাজ, ভূমিদস্যু, পরম্পদ লোভী এবং আইন অমান্যকারী ব্যক্তি। নিম্ন বর্ণিত তফশিল ভুক্ত জমি আমার বাবা দলিল নং-১৮৪৯, দলিল নং-২১৮২এবং দলিল নং-৮২৪ মূলে ক্রয়সূত্রে মালিক হয়। সেই জমি আমার বাবা ভোগদখল করাকালে শরীরিক ভাবে অসুস্থ হয়।
এরই মধ্যে অভিযুক্তরা সেই জমি নিয়ে বিরোধ সৃষ্টি করে। বিষয়টি আমি স্থানীয় ভাবে সমাধানের চেষ্টা করলে তারা স্থানীয় ভাবে সমাধান না হলে আমার বোন শাহানাজ পারভীন বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন নং-৪৭২/২৪ ইং (চিলঃ) এবং পিটিশন নং-৯৭/২৪ ইং (চিলঃ) মামলা করে। মামলা বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে।
তিনি অভিযোগে আরও উল্লেখ করেন, সেই জমিতে আমন ধান চাষ করি। অভিযুক্তরা আদালতের আদেশ অমান্য করে আজ মঙ্গলবার ভোর সাড়ে চার টার দিকে অভিযুক্তরাসহ অজ্ঞাত ৫/৬জন মিলে জমির পাঁকা ধান কেটে নিয়ে যায়।এতে আনুমানিক প্রায় ২০ মন ধান হবে। যার বাজার মুল্য প্রায় ২৬ হাজার টকা।
অভিযুক্তদের সঙে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে ফোনে পাওয়া যায়নি।
ওসি মো. নাজমুস সাকিব সজিব জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাস্থলে অফিসার পাঠানো হয়েছে। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।