শিক্ষা

সাতক্ষীরা রুপালী ব্যাংক ম্যানেজারের বিরুদ্ধে একক স্বাক্ষরে বেতন-বিল পাশ করানোর অভিযোগ

  সাতক্ষীরা প্রতিনিধি ২৩ নভেম্বর ২০২৪ , ৮:৩৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অবৈধ ভাবে সভাপতির একক স্বাক্ষরে বেতন-বিল পাশ করানোর অভিযোগ উঠেছে সাতক্ষীরা রুপালী ব্যাংকের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। এড. আব্দুর রহমান কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের স্বাক্ষর ছাড়া কিভাবে তিনি কলেজের অক্টোবর মাসে বেতন বিল পাশ করালেন সেটি নিয়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে নানা গুঞ্জনের সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন শিক্ষক-কর্মচারীরা।

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, ৫ আগস্ট ছাত্র অভ্যুত্থানের পর কলেজের কার্যক্রম সচল রাখতে গত ১ সেপ্টেম্বর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কলেজের সিনিয়র শিক্ষক আব্দুল মজিদকে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করেন। তবে সংরক্ষিত তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামকে অবৈধভাবে ২৫ সেপ্টেম্বর এডহক কমিটির আহবায়ক অনুমোদন করেন একটি চক্র। জালিয়াতির মাধ্যমে অনুমোদন পাওয়া আহবায়ক সিরাজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এদিকে সিরাজুল ইসলাম কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষকে অবমাননা করতে থাকে। এমনকি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-বিল পাশ হওয়ার জন্য অধ্যক্ষ এবং সভাপতির যৌথ স্বাক্ষর প্রয়োজন হলেও একক স্বাক্ষরে তা পাশ করার প্রস্তুতি নিতে থাকে। একপর্যায়ের সাতক্ষীরা রুপালী ব্যাংকের ম্যানেজার শংকর বিশ্বাসের সাথে যোগসাজস করে। একক স্বাক্ষরে বিল পাশ না করার জন্য ম্যানেজারের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হলেও তিনি তা মানেনি। অবৈধ ভাবে সভাপতির স্বাক্ষরেই বেতন-বিল পাশ করেছেন। যা এখতিয়ার বর্হিভূত এবং ফ্যাস্টিট এর কার্যক্রমের শামিল বলে মনে করেন শিক্ষক কর্মচারীরা।

অন্যদিকে, ৫ আগস্ট অনেক কলেজের অধ্যক্ষ পলাতক থাকার কারনে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে একক স্বাক্ষরে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন-বিল পাশ করার নির্দেশনা দেয় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ওই নির্দেশনা শুধুমাত্র যেখানে অধ্যক্ষ নেই বা পলাতক সেক্ষেত্রে। কিন্তু এড. আব্দুর রহমান কলেজে অধ্যক্ষ থাকার পরও অবৈধ সভাপতি একক স্বাক্ষরে বেতন-বিল পাশ করানো হয়েছে। এনিয়ে কলেজে শিক্ষক-কর্মচারীদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
কলেজের এডহক কমিটির অবৈধ পন্থায় হওয়া সভাপতি সিরাজুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
এবিষয়ে ব্যাংক ম্যানেজার শংকর কুমার দাস বলেন, প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আমি পাশ করিয়েছি।