মাসুদ পারভেজ, রৌমারী ২৯ নভেম্বর ২০২৪ , ১০:৫০ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
সাম্য,মানবিক মর্যাদা সামাজিক ন্যায়বিচার এই প্রতিপাদ্দের উপর রৌমারী উপজেলায় রাষ্ট্র সংস্কার ও সংবিধান এবং এলাকাবাসীর ৫ টি দাবীর বিষয়ক কৃষক সমাবেশ পন্ড, হামলা ও ভাঙ্গচুরের অভিযোগে এক সংবাদ সম্মেলন করা হয়। শুক্রবার ২৯ নভেম্বর বিকাল ৩ টায় মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স চত্ত্বরে রৌমারী কৃষক সমাবেশ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খন্দকার শামসুল আলম এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল, রাষ্ট্র সংস্কারের রাজনীতির পথিকৃৎ ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ এডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম প্রধান সমন্বয়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন।
অভিযোগে জানা যায়, সমাবেশে ৫ দফা দাবী সমুহ ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তাঞ্চল রৌমারীকে ঐতিহাসিক মুক্তাঞ্চল হিসেবে রাষ্ট্রিয় স্বীকৃতি প্রদান, রৌমারী পর্যন্ত রেল ও গ্যাস লাইন সম্প্রসারণ, রৌমারীর অস্তিত্ব রক্ষার্থে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙ্গন রোধ ও নদীশাসন তথা নদীখনন এবং স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ, রৌমারী স্থলবন্দর পুর্ণাঙ্গকরণ, রৌমারী নদী ভাঙ্গনপ্রবণ এবং বন্যা খরায় চরম বিধ্বস্ত এলাকা হওয়ায় স্থানীয় হাট বাজারের ইজারা প্রদান বন্ধকরণ বিষয়ে সমাবেশের উদ্দেশ্যে রৌমারীতে বাংলাদেশ সরকারের শিল্পী কল্যাণ ট্রাষ্ট এর ট্রাষ্টি, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রনালয়, ঢাকা, দিদারুল ভুইয়া অর্থনৈতিক সমন্বয়ক, শেখ নাসির উদ্দিন সাধারণ সম্পাদক বাংলাদেশ ভুমিহীন আন্দোলন, মাশকুর রাতুল সমন্বয়ক রাষ্ট্র সংস্কার যুব আন্দোলন, আহমেদ ইসহাক সভাপতি রাষ্ট্র সংস্কার ছাত্র আন্দোলন, কাইউম আজাদ বাবুল সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, এডভোকেট শহীদ আবু সাইদের প্রধান আইনজীবি রায়হান কবির ন্যায়পাল, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, খন্দকার আরিফ সমন্বয়ক রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, কুড়িগ্রাম জেলা শাখা, এ,কে,এম মোস্তফা জামান লেলিন আহ্বায়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন রাজারহাট উপজেলা শাখা এসএমএ মোমেন সহ সমন্বয়ক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন, কুড়িগ্রাম জেলা শাখাসহ সকলে রৌমারীর ঐতিহ্যবাহী মুক্তাঞ্চল মুক্তিযুদ্ধকালীন মুক্তাঞ্চল রৌমারীর সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, চাঁনমারী, রৌমারীর প্রথম শহীদ মিনার এবং রৌমারীতে স্থাপিত বাংলাদেশের প্রথম ডাকঘর পরিদর্শন শেষে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে সমাবেশে উপস্থিত হওয়ার আগেই জামায়াতের অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হুকুমে পুলিশ সমাবেশ মঞ্চ ভেঙ্গে দেয়ার কথা বলেন। পরে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের আয়োজক এবং অতিথিবৃন্দদের উপর হামলা করে জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা। এতে আহত হয় নাহিদ হাসান নলেজ, ন্যায়পাল রায়হান কবির, মিজানুর রহমান মিনুসহ সকলেই রৌমারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
পরে উপজেলা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করে বলেন, স্থানীয় দাবী দাওয়া নিয়ে আয়োজিত কৃষক সমাবেশ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের হুকুমে পুলিশ এবং জামায়াত ও শিবিরের আগ্রাসনে ভাঙ্গচুর সংঘর্ষ, হামলা লাঞ্চিত ও মঞ্চ ভেঙ্গে দেওয়ায় তীব্র নিন্দা, প্রতিবাদ ও তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবী জানান।
এবিষয়ে জামায়াতের উপজেলা আমির সাবেক অধ্যক্ষ হায়দার আলী বলেন, এটি একটি ভুল বুঝাবুঝির কারনে এঘটনাটি ঘটেছে।
এব্যাপারে রৌমারী থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনর্চাজ ওসি লুৎফর রহমান পাশ কাটিয়ে যান এবং বলেন, সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল হয়নি। ঘটনা স্থলে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
এবিষয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী আনিসুল ইসলাম, সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল হয়নি। মারামারি যা হয়েছে হাটের দিন ঘটনা স্থলে হয়নি।