ফুলবাড়ী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ , ৩:৩৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
উত্তরের জেলা কুড়িগ্রামের সীমান্ত ঘেঁষা ফুলবাড়ীর উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ। ক্রমশ তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিনে দিনে বেড়ে চলেছে শীতের প্রকোপ। এতে বিপাকে পড়েছেন ছিন্নমূল খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ কনকনে শীতের কারণে জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে,প্রায় সর্বত্রই কুয়াশাচ্ছন্ন প্রকৃতি সেই বইছে হীমেল বাতাস, আগুন জ্বালিয়ে শীত থেকে বাঁচতে চেষ্টা করছে কেউ কেউ। ঘন কুয়াশা রাত থেকে সকাল পর্যন্ত এবং দীনভর হীমেল হাওয়ায় কনকনে শীতে সাধারণ মানুষ কাহিল হয়ে পড়েছে। জরুরী কাজ ছাড়া মানুষ বাড়ি থেকে বের হতেই চাচ্ছে না,তবে পরিবারের চাহিদা মেটাতেই অনেকেই শীতকে উপেক্ষা করে কাজের সন্ধানে ছুটছেন।
অপরদিকে তীব্র শীতে অনেকটাই জনশূন্য হয়ে পড়েছে ব্যস্ততম সড়ক ও উপজেলা সদর সহ-ছোট বড় হাটবাজার গুলো। দিনের বেলায় একটু সূর্যের দেখা মিললেও উত্তাপ না থাকায় কনকনে শীতের তীব্রতা কোনমতে কাটে না।ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে সড়ক গুলোতে গাড়ির হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে, এদিকে শীতের কারণে হাসপাতাল সহ- ডাক্তাদের চেম্বার গুলোতে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু সহ বয়স্করা বেড়েছে জ্বর সর্দি কাশি।
স্থানীয়রা বলছেন প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাহিরে বের হচ্ছেন না। কেউ কেউ জীবিকার তাগিদে বেড় হলেও সন্ধ্যা নামার আগেই ফিরছেন বাড়িতে,রাতে সাধ্য অনুযায়ী শীত নিবারণের জন্য লেপ,কম্বল,কাঁথা ব্যবহার করছেন।সীমান্ত ঘেঁষা নন্দীর কুটি গ্রামের কৃষক সমশের আলী, পুতুল চন্দ্র সেন বলেন, গত কয়েকদিন ধরে ঠান্ডা অনেকটাই বেড়েছে দিন দিন আরো বেড়েই চলছে, বাতাসের কারণে হাত,পা অবশ হয়ে আসছে, সকাল এগারোটা পর্যন্ত রাস্তায় কেউ চলাচল করতে চায়না, কিন্তূ পেটের তাগিদে শীত উপেক্ষা করে প্রতিদিন আমাদের কাজের সন্ধানে বেড় হতে হয়।
অটোচালক ইমানুল হক বলেন, বেশি ঠান্ডার কারণে লোকজন বাড়ি থেকে বাহির হচ্ছেনা, ওই জন্য প্যাসেঞ্জার কম, তবে যে হারে ঠান্ডা বাড়ছে তাতে সবাইরে চলাচল করতে খুব সমস্যা হবে।
এদিকে রবিবার (৮ অক্টোবর) সকাল সাতটায় ফুলবাড়ী উপজেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এব্যাপারে কুড়িগ্রামের রাজারহাট কৃষি ও আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, তাপমাত্রা সপ্তাহ ধরে জেলা জুড়ে ১২ থেকে ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে উঠানামা করছে। ঠান্ডার অনুভূতি কিছুটা বেড়েছে, দুইদিন থেকে ঘন কুয়াশা জোর বেড়ে গেছে, এ মাসে জেলায় দুই তিনটি শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে বলে জানান।