রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ১১ জানুয়ারি ২০২৫ , ৭:৫১ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
পুষ্টি সমৃদ্ধি এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে ঘিরে কুড়িগ্রামের রৌমারীতে বসতবাড়ির আঙ্গিনাসহ প্রতি ইঞ্চি কৃষি জমি সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এর লক্ষে পুষ্টি নিরাপত্তায় মডেল বাগান সবজি, ফল, ভেষজ ও মসলা সারাবছর সবজি ও ফলের চাহিদা মেটাতে পারিবারিক পুষ্টি বাগান স্থাপন কার্যক্রম চলমান। কৃষি উন্নয়নের মাধ্যমে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা জোরদারকরণ প্রকল্প কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রৌমারী এর সহযোগীতায় সুফল ও জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনিবার ১১ জানুয়ারী সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় এসব চিত্র।
কৃষি অফিসের তথ্য মতে, বাগানে শোভা পাচ্ছে বিভিন্ন রকম সবজি ও ফল গাছ। আগ্রহী ৭৮ জন্য কৃষকদের নানা ভাবে প্রশিক্ষণ দিয়ে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে সবজি, ফল, ভেষজ ও মসলা জাতীয় বীজ দেওয়া হয়। বাড়ির আঙিনা ও বাড়ির পাশে পতিত জায়গা রয়েছে এসব বাগান। যেখানে সব ধরনের সবজি চাষ সম্ভব। উপজেলার বন্দবেড় ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের চরটাপুরচর ও হাজিরহাট এলাকায় দেখা যায়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা নিজ বাড়িতে বুলেট পাওয়ার কমপোস্ট ইত্যাদি তৈরি ও ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি চাষ করছেন। এরই মধ্যে চাষিরা বেশ সুফল পেতে শুরু করেছে।
উপজেলার বন্দবেড় ইউনিয়নের চরটাপুরচর ও হাজিরহাট এলাকায় দেখা যায়। পুরুষের পাশাপাশি নারীরা নিজ বাড়িতে বুলেট পাওয়ার কমপোস্ট ইত্যাদি তৈরি ও ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ সবজি চাষ করছেন। এরই মধ্যে চাষিরা বেশ সুফল পেতে শুরু করেছে। পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাজারজাতকরণ করা যায়। ফলে পারিবারিক পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষকরা বাড়ির আঙিনার খালি জায়গা বিভিন্ন প্রজাতির সবজি ও বিভিন্ন প্রকার ফল গাছ শোভা পাচ্ছে। গল্প করে সময় না কাটিয়ে তারা বাড়তি লাভের আশায় সবজি চাষ ও ফল গাছের পরিচর্যা করছেন। পরিবারের প্রতিদিনের পুষ্টির চাহিদা পূরণের বেশি লাভের আশায় কৃষি অফিসের সহযোগীতায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান করছেন। বসতবাড়ির আঙিনা, বাড়ির আশপাশ, পুকুর ও খালের পাড়, স্যাঁতস্যাঁতে ছায়াযুক্ত প্রতি ইঞ্চি অব্যবহৃত ও অনাবাদি জমিতে শাক-সবজি ও ফলমূলের বাগান শোভা পাচ্ছে প্রতিটি বাড়িতে।
এব্যাপারে নারগিছ বেগম বলেন, উপ-সহকারী কৃষি অফিসের এর পরামর্শে বাড়ির আঙিনায় পারিবারিক পুষ্টি বাগান তৈরি করেছি। বাড়ির আঙিনা হওয়ায় জমিতে সার, বীজ বপন, পানির সেচ দেওয়া থেকে শুরু করে ফসল রক্ষণাবেক্ষণের সব কাজ নিজেই করতে পারি। বিষমুক্ত সবজি উৎপাদন করে নিজেদের পরিবারকে খাওয়াতে পাচ্ছি।
উপ-সহকারী কৃষি অফিসার আমিনুল ইসলাম কাজল জানান, অনেকের পারিবারিক সচ্ছলতা ফিরে এসেছে পারিবারিক পুষ্টি বাগান এর মাধ্যমে অন্যদিকে তারা আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হচ্ছেন।
রৌমারী উপজেলা কৃষি অফিসার কাইয়ুম চৌধুরী জানান, আমাদের প্রস্তাবিত পারিবারিক পুষ্টি বাগানের মডেল এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে একজন কৃষক সব সময়ই বাগান থেকে কিছু না কিছু পাবেনই। কখনো সবজি থাকবে, আবার কখনো থাকবে ফল। তিনি আরো বলেন, এতে পারিবারিক স্বচ্ছলতা আসছে।