এস এম রাফি ১৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:১৪ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
এস এম রাফি,চিলমারী(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে গুচ্ছ গ্রামের ঘরের সুবিধাভোগীদের দেয়া ৫৯টিন আত্মসাৎ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন, আবাসনের ৪০টি ঘরের ভিতরের দরজা দেয়ার জন্য টিন দিয়েছিলেন উপজেলা প্রশাসন । তবে, সেই টিন ফেরত নিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার নয়ারহাট ইউনিয়নের খেরুয়ারচর এলাকায় ২০১৯-২০ অর্থ বছরে ভূমি মন্ত্রনালয়ের অধিনে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের তত্ত্বাবধানে খেরুয়ারচর গুচ্ছ গ্রামে মাটি ভরাটের কাজ করা হয়। ওই গুচ্ছ গ্রামে মাটি ভরাট বাবদ ২০৮মে.টন গম বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল,যার আর্থিক মূল্য ছিল ৬০লাখ টাকার ওপরে। সংশ্লিষ্ট নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু হানিফাকে সভাপতি করে কমিটির মাধ্যমে এই মাটি ভরাটের কাজ সম্পন্ন করা হয়। পরবর্তীতে গুচ্ছ গ্রাম প্রকল্পে টিন, লোহার এ্যাঙ্গেল ও রড সিমেন্টের সিড়ি দিয়ে প্রতি পরিবারের জন্য বারান্দাসহ ১টি ঘর ও টয়লেট সহ ৪০টি ঘর নির্মান করা হয়। প্রতি ৫ পরিবারের জন্য একটি গোসলখানা ও একটি টিউবওয়েল ও দেয়া হয়। এতে প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছিল ১লাখ ৫০ হাজার টাকা। গুচ্ছ গ্রামে ৪০পরিবারের আবাসন নির্মানের জন্য মোট বরাদ্দ দেয়া হয় ৬০লাখ টাকা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গুচ্ছ গ্রামে ৪০টি আবাসনের ঘর নির্মাণের পর ওই ঘরের ভিতরের দরজার জন্য একটি করে টিন দেয়া হয়েছিলো আশ্রয়ন বাসীদের। তবে সেই টিন গুলো ইউএনও মাহবুবুর রহমানের নাম ভাঙিয়ে নয়ারহাট ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ নিজের কাছে রেখে দিয়েছেন সেই সব টিন।
গুচ্ছ গ্রামের বাসিন্দা স্বপনা বেগম বলেন, ঘরের ভিতরের দরজার জন্য একটা করে টিন দিয়ে গেছিলো তখনকার ইউএনও স্যার । পরে সেই টিন আমাদের থেকে জমা নেয় সোনাভান বেগম।
ওই আবাসনের বাসিন্দা সোনাভান বেগম বলেন, আমার কাছে জমা রাখা ৫৯টি টিনের মধ্যে ৪৯ টিন নিয়ে যান নয়ারহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ। বাকি ১০টা টিন ইউএনও স্যার আমার মাদ্রাসায় দেয়।
ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, ইউএনও স্যার টিন নিতে বলছে, ৪৮টি টিন আমার কাছে জমা আছে। পরবর্তীতে টিন গুলো মসজিদ মাদ্রাসায় দেয়া হবে।
ইউএনও মাহবুবুর রহমান, আমি কোনো নির্দেশনা দেই নি। এবিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মাত্র শুনলাম আপনাদের মুখে। তবে এবিষয়ে তদন্ত পূর্বকব্যবস্থা নেয়া হবে।