বিবিধ

চিলমারীর শাখাহাতীতে ব্রহ্মপুত্র নদের ভাঙনে ৩ দিনে ভিটেহারা ৫০ পরিবার

  চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি: ৪ জুন ২০২৫ , ৩:৩৩ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বাড়তে শুরু হওয়ায় আবারো ভাঙন দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যে ৫০টি পরিবার তাদের বসত বাড়ি সরিয়ে নিয়েছেন। এছাড়াও হুমকির মুখে পড়েছে ওই এলাকার সরকারি স্থাপনাসহ আবাদি-জমি বসতবাড়ি সহ কোটি টাকার বৈদ্যুতিক সাবমেরিন কেবল। স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙন রোধে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। পাউবো কর্তৃপক্ষ ভাঙনরোধে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।  

উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চরশাখাহাতী এলাকার ব্রহ্মপুত্রের তিব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে।

বুধবার (৪ জুন) শাখাহাতী এলাকায় দেখা গেছে, স্থানীয়রা তাদের বসত বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছন। সকাল থেকে মাথায় করে তাদের ঘরের বিচ্ছিন্ন অংশ গুলো নিরাপদ স্থানে নিচ্ছেন। 

জানা গেছে, ব্রহ্মপুত্রের তান্ডবে ভেঙে গেছে চিলমারী ইউনিয়নের ৫০ পরিবার। ওই এলাকায় আবাদি জমি, বৈদ্যুতিক খুঁটি, হুমকিতে পড়েছে শাখাহাতী কমিউনিটি ক্লিনিক। 

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়,মাত্র ৩ দিনে ব্রহ্মপুত্রের ভাঙনে শাখাহাতী এলাকার মমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম, জাবের হোসেন, ছয়নুদ্দীন, রান্জু মিয়া, নূর আলম, রান্জু, সুজা মিয়া,ছফিয়াল সহ আরও ৫০ টি পরিবার নদী ভাঙ্গনের শিকার হয়েছেন। তিন দিনে ভেঙে গেছে,মসজিদ, মাদ্রাসা,কবরস্থান, ব্র্যাক অফিস। এছাড়াও গতবছর বসতভিটা হারা হয়েছেন একই গ্রামের গেছে ৩০০ পরিবার। পরিবার গুলোর অভিযোগ,বসতভিটা হারা হলেও সরকারি ভাবে কোনো সহযোগিতা পায়নি তাঁরা।

স্থানীয় ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম জানান, ৩৫ বছর থেকে আমরা এই চরে বসবাস করে আসতেছি,নদী ভাঙনের কারণে মানুষজন অসহায় হয়ে পড়েছে। আমি কয়েকজন কে বসবাসের জন্য জমি দিয়েছি। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ বসতভিটা হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন, কোথায় ঠাঁই নিবেন এটায় তাদের চিন্তা!

চিলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সবুজ কুমার বসাক বলেন, এসংক্রান্ত মিটিং করা হয়েছে। আর ভাঙনরোধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কথা বলেছি। আপাতত ভাঙন ঠেকানোর জন্য যা করনীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। 

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)’র নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ রাকিবুল হাসান জানান, ভাঙনরোধে আজকে জিও ব্যাগ পাঠানো হবে।