এস এম রাফি ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৭:৩৭ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
জহির রায়হান কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধিঃ-
তিস্তা নদীর জেগে উঠা চরে সবুজের সমারোহ কৃষকের হৃদয় নিংড়ানো ভালবাসায় দিগন্ত এলাকা জুড়ে লক লক করে বেড়ে উঠছে ভুট্টা ক্ষেত। অল্প খরচ আর অধিক ফলন এবং বেশী লাভ হওয়ায় রংপুরের কাউনিয়ায় তিস্তা নদী জেগে উঠা চরসহ বেশীরভাগ জমিতে ভুট্টা চাষ করেছে চাষীরা। চলতি মৌসুমে ভুট্রার বাম্পার ফলনেরও আশা করছেন কৃষকরা।
সরেজমিনে তিন্তা নদী বেষ্টিত বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে, তিস্তা নদী বেষ্ঠিত যে সব চরে কোন ফসল হতো না সে সব চরের জমিতে এখন ব্যাপক ভুট্টার চাষ হয়েছে। উপজেলার চর নাজিরদহ, চর চতুরাসহ চর নাজিরদহ, চর প্রাননাথ চর গুপিডাঙ্গা,চর আরাজি হরিশ্বর, চর গদাই, চর পাঞ্জরভাঙ্গা, চর ঢুসমারা, চর গনাই, চর বিশ্বনাথ, চর আজম খাঁ সহ ২৯টি চর ও বিভিন্ন গ্রামে দিগন্ত মাঠ জুড়ে ভুট্টা চাষ হয়েছে। আরাজী সাহাবাজ গ্রামের ভুট্টা চাষি রেজাউল করিম জানান তিনি চলতি মৌসুমে আগাম জাতের ভুট্টা ১০ দোন (২৫শতকে দোন) জমিতে রোপন করেছেন। ফলন মোটামুটি ভাল এসেছে, সেই সাথে ভাল দাম পাওয়ার আশা প্রকাশ করছেন। নাজির দহ গ্রামের কৃষক মেনাজ উদ্দিন জানান তিনি এবার ১ একর জমিতে ভুট্টা চাষ করেছেন। তার খরচ হয়েছে ৩৮ হাজার টাকা। সে ৩০ থেকে ৩৫ মন ভুট্রা ফলনের আশা করছেন। বর্তমানে ভুট্রার বাজার মূল্য ১হাজার ২শ থেকে ১৪ শত টাকা মণ। তিনি আরও জানান ভুট্টার পাতা গো-খাদ্য ও গাছ রান্নায় জ্বালানীর কাজে ব্যবহার হয়। গদাই গ্রামের ভুট্টা চাষী আলামিন জানান ভুট্টা চাষে সামান্য সমস্যা রয়েছে তা হলো মাড়াই ও বাজারজাত করন। এ ছাড়াও সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা ও ব্যাংক ঋনের অভাব। কৃষকরা সহজ শর্তে কিস্তিতে মারাই মেশিন, কৃষি ঋণ, চাষাবাদে আধুনিক প্রযুক্তিগত প্রশিক্ষন, উন্নত মানের বীজ সরবরাহ, সংরক্ষনাগার ও বিপনন ব্যাবস্থা চালুর দাবী জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ শাহানাজ পারভীন জানান, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৭৮৮ হেক্টর জমিতে ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে, আর চাষ হয়েছে ৯৫০ হেক্টর জমিতে। উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা হেক্টর প্রতি ৭.২৫ মেঃটঃ ধরা হয়েছে। অবহাওয়া ভাল থাকায় ফলন ভাল হবে বলে আশা করছেন। এছাড়া ২৯০ জন কৃষককে বীজ, সার সরকারী প্রনোদনা দেওয়া হয়েছে।