এস এম রাফি ১৬ এপ্রিল ২০২৩ , ২:৫৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
গ্রীষ্মের শুরুতে প্রচণ্ড খরতাপের সঙ্গে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা। ঘন ঘন লোডশেডিং ও বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ এর কারণে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত তিন দিন থেকে পবিত্র রমজানে ইফতার, তারাবি এমনকি সেহরিতেও মিলছে না বিদ্যুৎ। অপর দিকে ইরি-বোরো চাষের শেষ সময়ে এসে জমিতে পানি (সেচ) দেওয়া নিয়ে চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক।
বিদ্যুৎ বিভাগ বলছে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম ও জাতীয় গ্রীডে ভোল্টেজ কম থাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনা ঘটছে। এর ফলে প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকার বাসিন্দাসহ ব্যবসায়ীরা চরম বিপাকে পড়েছেন। আসন্ন ঈদ মার্কেটে সকল দোকানে দুর্ভোগে পড়ছেন ক্রেতা ও বিক্রেতারা। ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন তাঁরা।
অন্যদিকে চলতি ইরি-বোরে মৌসুমের শেষ সময়ে এসে জমিতে নিয়মিত সেচ দিতে না পারায় স্বপ্নের সোনালী ফসল নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন কৃষক। উপজেলার পাইকেরছড়া গ্রামের কৃষক আবু সালেহ জানান, ২ বিঘা জমিতে ব্রি-২৮ ধান চাষ করেছি। ধানে নেক ব্লাস্ট ছত্রাক আক্রান্ত হয়েছে। কৃষি অফিসার বলছে কিটনাশক স্প্রে করার পাশাপাশি জমিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি রাখতে হবে। কিন্তু তীব্র লোডশেডিং এর কারণে জমিতে পানি দিতে পারতেছি না।
একাধিক কৃষক জানান, ইরি-বোরো ধানে আর মাত্র ৮ থেকে ১০ দিন সেচ দিতে হবে। কিন্তু বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে জমিতে নিয়মিত পানি দিতে না পারলে প্রচণ্ড খরায় ধানের শীষ শুকিয়ে চিটা হয়ে যাবে। স্বপ্নের ফসল মাঠেই নষ্ট হয়ে যাবে।
ভূরুঙ্গামারী বাজারের পোশাক ব্যবসায়ী শাহআলম, সোহাগ ও মুকুল বলেন, কোনো রুটিন ছাড়াই দিনে অনেকবার লোডশেডিং হচ্ছে। এক-দেড় ঘণ্টা পর বিদ্যুৎ আসলে আবার সর্বোচ্চ ৩০ মিনিট পর চলে যায়। আসন্ন ঈদ মার্কেটে ব্যবসায়ীরা ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছি।
পল্লী বিদ্যুতের ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিস সুত্রে জানাগেছে, উপজেলায় দৈনিক (দিবা) বিদ্যুতের চাহিদা ১৯ মেগাওয়াট চাহিদার বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে মাত্র ৮ মেগাওয়াট। অপর দিকে দৈনিক (নৈশ) চাহিদা ২২ মেগাওয়াটের বিপরীতে পাওয়া যাচ্ছে ৯ মেগাওয়াট।
কুড়িগ্রাম -লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ভূরুঙ্গামারী জোনাল অফিসের ডিজিএম কাউসার আলম জানান, জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে মাঝে মাঝে বিদ্যুতের লো ভোল্টেজ হচ্ছে। একারণে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সর্বরাহ করা যাচ্ছে না। আর চাহিদার তুলনায় কম বিদ্যুৎ পাওয়ার ফলে ঘাটতি পূরণে লোডশেডিং দিতে হচ্ছে।