জাতীয়

জাতীয় নির্বাচনে যে কৌশল নিতে পারে আ.লীগ

  এস এম রাফি ২৫ এপ্রিল ২০২৩ , ৭:২৪ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সদরুল আইনঃ

প্রচলিত নিয়মের বাইরে আগামি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থি চুড়ান্তকরণ কাজ চলছে।

বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, দলিয় কোন্দল যাতে সৃষ্টি না হয়,বিদ্রোহী প্রার্থি যাতে আ.লীগের পরাজয়ের কারন হয়ে না দাঁড়ায়, সেদিকটি মাথায় রেখে চুড়ান্ত প্রার্থিদের আগেই সবুজ সংকেত প্রদান করা হতে পারে।

একই সাথে বিদ্রোহ ঠেকাতে প্রতিটি আসনে দলটির একাধিক প্রার্থিদেরকে নিজের জন্য ভোট না চাইতে বলা হতে পারে।শুধু সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরে সংগঠিত হতে নির্দেশণা আসতে পারে।

সূত্র মতে, চুড়ান্ত প্রার্থিরা ২/১ মাসের মধ্যেই সবুজ সংকেত পেতে পারেন।

অপর সূত্র বলছে, বিএনপি নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেওয়ার পরপরই আ.লীগের চুড়ান্ত প্রার্থিদের কাছে সবুজ সংকেত পাঠানো হতে পারে।

তবে যারা সবুজ সংকেত পাবেন মাঠের রাজনীতিতে তারা সক্রিয় থাকবেন।অন্য প্রার্থিদের না বলে দেবেন হাইকমান্ড।এতে করে বিদ্রোহী প্রার্থিদের আধিক্য যেমন থাকবে না তেমনি সরকারের ইমেজ অক্ষুন্ন থাকবে।

সূত্র মতে ১৫০ আসনে প্রার্থিতায় পরিবর্তন আসার সমুহ সম্ভাবনা রয়েছে।

আ.লীগের হাইকমান্ড মনে করছে একটি আসনে একাধিক প্রার্থি প্রচারে থাকলে বিশৃঙ্খা তৈরি হবে।বিদ্রোহী প্রার্থির আধিক্য সৃষ্টি হবে। এতে সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হবে এবং সরকারের সকল অর্জন নষ্ট হতে পারে।

যে কারনে সবগুলো আসনেই চুড়ান্ত প্রার্থিদের আগেই সবুজ সংকেত পাঠানো হবে এবং একাধিক প্রার্থি থাকলে তাদেরকে নিরুৎসাহীত করে সরকারের উন্নয়নচিত্র নিয়ে মাঠে থাকতে বলা হবে।

এছাড়া যাদেরকে সবুজ সংকেত পাঠানো হবে তাদেরকে এ বিষয়টি প্রকাশ না করতে কঠোরভাবে নিষেধ করে দেওয়া হবে।যারা সবুজ সংকেত পাবেন না তারা নিজেরাই বুঝে যাবেন তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে না।