বিবিধ

কুড়িগ্রামে মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাংচুর,ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক

  এস এম রাফি ৩ মে ২০২৩ , ৪:৪৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি:

কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে চারটি পরিবারের পারিবারিক মন্দিরে ঢুকে ৮টি প্রতিমা ভাংচুরের ঘটনায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ। বুধবার দুপুরে তিনি উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের সীমান্তঘেষা
গোরকমন্ডল রায়পাড়া এলাকায় উপস্থিত হয়ে পারিবারিক মন্দিরে ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিমাগুলো দেখেন এবং হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের সাথে মতবিনিময় করেন। জেলা প্রশাসক ক্ষতিগ্রস্থ চারটি পরিবারের প্রতিমা ও মন্দিরগুলো সংস্কারের ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তা করার আশ্বাস দেন।
এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খৃীস্টান ঐক্য পরিষদের ফুলবাড়ী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক অনীল চন্দ্র রায়, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন
শাখার সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র রায়, গোরকমন্ডল ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার আব্দুল ছালাম ও ইউপি সদস্য শ্যামল চন্দ্র মন্ডলসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুমন দাস জানান, আতংকিত না হওয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। মন্দিরে ঢুকে মূর্তি ভাংচুরকারী দূর্বৃত্তদের অবশ্যই চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তুমুলক শাস্তি নিশ্চিত করাও হবে। তিনি আরও জানান, সম্মানীত জেলা প্রশাসক মহাদয়ের নিদের্শে আজকালের মধ্যেই ক্ষতিগ্রস্থ প্রতিমা ও মন্দির সংস্কারের জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করা হবে। কোন প্রকার ভয় কিংবা আতংকিত হবেন না এবং আপনাদের পাশে সব সময় প্রশাসন পাশে আছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার ভোর রাতে অজ্ঞাত দূর্বৃত্তরা রাতের আধারে ওই গ্রামের ভবেশ চন্দ্র বর্মন, বিনয় চন্দ্র বর্মন, ধীরেন্দ্র নাথ বর্মন ও বীরেন্দ্র
নাথ বর্মনের বাড়ীর উঠানে অবস্থিত পারিবারিক মন্দিরে ঢুকে চারটি মন্দিরের ভেতরের থাকা ৮টি প্রতিমার অঙ্গপ্রত্যঙ্গ ভাংচুর করে দুর্বৃত্তরা। প্রতিমা ভাংচুরের খবর পেয়ে মঙ্গলবার রায়পাড়া ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন কুড়িগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার আল-আসাদ মোঃ মাহফুজুল ইসলাম,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) সাজ্জাদ হোসেন, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী সরকার,ফুলবাড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ ফজলুর রহমান, নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ হাছেন আলী, উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদ ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দসহ, গোরকমন্ডল ক্যাম্পের বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবি।