এস এম রাফি ৩১ মে ২০২৩ , ৯:১৫ পূর্বাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের চিলমারীতে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহারের ঘরে বসবাস করা মজিরন বেগমের অস্বাভাবিক বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করে দিয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ। তার ঘরের মিটারটিও পরিবর্তন করে নতুন মিটার স্থাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করে জমিরন বেগম নিজে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। পরে কুড়িগ্রাম-লালমনিরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) মোস্তফা কামাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মজিরন বেগম উপজেলার থানাহাট ইউনিয়নের ছোট কুষ্টারী গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে বাস করেন।
ওই প্রকল্পে তিনিসহ ছয় পরিবারের বসবাস। অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবিকা চালানো মজিরন তার ঘরে একটি ফ্যান, একটি বাল্ব ও বারান্দায় একটি বাল্ব ব্যবহার করেন। সামান্য বিদ্যুৎ ব্যবহার করলেও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মজিরনের মে মাসের বিলে ব্যবহৃত ইউনিট উল্লেখ করে ৪ হাজার ৬৮। তার বিদ্যুৎ বিল দেখানো হয় ৫৪ হাজার ২৩৭ টাকা। এ নিয়ে সোমবার রাতে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে মঙ্গলবার সকালে বিল সংশোধনের উদ্যোগ নেয় প্রতিষ্ঠানটি।
মজিরন বেগমকে দেওয়া সংশোধিত বিদ্যুৎ বিলের কপিতে দেখা গেছে, মে মাসে তার ব্যবহৃত ইউনিট ২৫ উল্লেখ করা হয়েছে।
মজিরন জানান, মঙ্গলবার সকালে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চিলমারী জোনাল অফিস থেকে তাকে ডেকে নেওয়া হয়। পরে তার বিদ্যুৎ বিল সংশোধন করে ১৬২ টাকা করে দেয় কর্তৃপক্ষ। তিনি মঙ্গলবার দুপুরে বিলটি পরিশোধ করেন। এরপর বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন তার বৈদ্যুতিক মিটারটি পরিবর্তন করে দেয়।
মজিরন বলেন, ‘ বিলের সমাধান হইছে। আপাতত আর কোনও সমস্য নাই।’
পল্লী বিদ্যুত সমিতির চিলমারী জোনাল অফিসের ডিজিএম মোস্তফা কামাল বলেন, ‘ভুল এন্ট্রি দেওয়ার কারণে বিলটি অসামঞ্জস্য হয়েছিল। পরে আমরা সংশোধন করে দিয়েছি। ওই নারীর বৈদ্যুতিক মিটারটিও পরিবর্তন করে দেওয়া হয়েছে।’
অসামঞ্জস্য বিল তৈরির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মচারীর বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশ্নে ডিজিএম মোস্তফা কামাল কোন সদুত্তর দেননি। তবে কর্মচারী ভুল করেছিল বলে স্বীকার করেন তিনি।