ধর্ম ও নৈতিকতা

সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদ উদযাপন

  এস এম রাফি ২৮ জুন ২০২৩ , ২:২৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

সৌদি আরবে বুধবার (২৮ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করা হচ্ছে। সৌদি ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানেও ঈদ উদযাপিত হচ্ছে। সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এসব গ্রামে ঈদ উদযাপনের এই রেওয়াজ চলে আসছে বহুদিন থেকে।

দেশের বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১১০টি গ্রামে উদযাপন করা হচ্ছে ঈদুল আজহা উৎসব। এর মধ্যে চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ, ফরিদগঞ্জসহ বেশ কয়েকটি উপজেলার অর্ধশত গ্রাম এবং বরিশাল মহানগর, বাবুগঞ্জসহ অন্তত ৫০টি ও ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ১০টি গ্রামে ঈদের সালাত আদায়সহ পশু কোরবানি হচ্ছে।

হাজীগঞ্জ (চাঁদপুর) প্রতিনিধি জানান, হাজীগঞ্জসহ চাঁদপুরের বেশ কয়েকটি উপজেলার প্রায় অর্ধশত গ্রামে ১৯২০ সাল থেকেই মধ্যপ্রাচ্যের সঙ্গে মিল রেখে ঈদ উৎসব পালন করা হয়। সে হিসেবে বুধবার সকাল ৯টায় হাজীগঞ্জের সাদ্রা সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে প্রধান ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ অঞ্চলে হানাফি মাজহাব অনুযায়ী বিশ্বের যে কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে ঈদ পালনের বিধান অনুসরণ শুরু করেন মরহুম মাওলানা ইসহাক। সে অনুযায়ী সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ধর্মীয় উৎসবগুলো যেমন– ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহা এবং পবিত্র মাহে রমজানের রোজাসহ যাবতীয় ইসলামী কর্মসূচি পালন করে আসছেন এসব গ্রামের বাসিন্দারা। এরই ধারাবাহিকতায় আগের দিন মঙ্গলবার ইয়াওমে আরাফা, অর্থাৎ পবিত্র হজের দিন হওয়ায় বুধবার পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ এবং কোরবানি সম্পন্ন করছেন তাঁরা।

আগাম ঈদ উদযাপন করা গ্রামগুলোর মধ্যে– হাজীগঞ্জের বলাখাল, শ্রীপুর মণিহার, বড়কুল, অলিপুর, বেলচো, রাজারগাঁও, ঝাকনী, কালচো, মেনাপুরসহ বেশ কয়েকটি গ্রাম আছে। ফরিদগঞ্জ উপজেলায় আছে– শাচনমেঘ, খিলা, উভারামপুর, আইকপাড়া, ভুলাচো, বদরপুর, উটতলী, নুরপুর, কাইতাড়া, সুড়ংগচাল ও বাশারা। এ ছাড়া মতলবের ১৮টি গ্রাম আছে। এর বাইরে চাঁদপুরের পাশাপাশি নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ভোলা ও শরীয়তপুর জেলার কয়েকটি স্থানে মাওলানা ইসহাকের অনুসারীরা এক দিন আগে ঈদ উদযাপন করেন।

বরিশাল ব্যুরো জানায়, মহানগর ও বাবুগঞ্জ জেলার কয়েকটি উপজেলায় প্রায় পাঁচ হাজার পরিবার আজ ঈদুল আজহা উদযাপন করছে। এজন্য অর্ধশতাধিক গ্রামের মসজিদে আগাম জামাতের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। মসজিদগুলোতে সকাল ৮টা এবং সাড়ে ৮টায় ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হয়। ঈদ উতযাপনকারীরা চট্টগ্রামের চন্দনাইশের জাহাঙ্গীরিয়া শাহ সুফি মমতাজিয়া দরবার শরিফের অনুসারী। পৃথিবীর কোনো প্রান্তে চাঁদ দেখা গেলে তার সঙ্গে মিল রেখে তাঁরা রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহাসহ যাবতীয় ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করেন।

বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি জানান, উপজেলার দশ গ্রামের মধ্যে আছে– শেখর ইউনিয়নের সহস্রাইল, মাইটকোমরা, রাখালতলী, গঙ্গানন্দপুর, বড়গাঁ, দুর্গাপুর, দিঘিরপাড় এবং রূপাপাত ইউনিয়নের কাটাগড়, সুর্যোগ, কলিমাঝি। এসব গ্রামের মানুষ মির্জাখিল শরিফের অনুসারী হিসেবে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে ঈদুল আজহা উদযাপন করছেন।