বিবিধ

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি হ্রাস পেলেও লক্ষাধিক বানভাসী মানুষের দুর্ভোগ কমেনি

  এস এম রাফি ১৭ জুলাই ২০২৩ , ৯:৪৯ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি :

কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কিছুটা হ্রাস পেলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। নিম্না লের বাড়ি-ঘর তলিয়ে থাকায় অবর্ণনিয় দূর্ভোগে আছে বানভাসীরা। ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাটেশ্বরী পয়েন্টে দুধকুমার নদীর পানি এখনো বিপদসীমার উপর দিযে প্রবাহিত হচেছ।
গ্রামীণ কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় যোগাযোগ ব্যবস্থা ভেঙ্গে পড়েছে। গত ৫ দিন ধরে নদ-নদী তীরবর্তী ও চর এলাকার ঘরবাড়ী তলিয়ে থাকায় দুর্ভোগ বেড়েছে মানুষজনের। সেই সাথে চারনভুমি তলিয়ে থাকায় দেখা দিয়েছে গোখাদ্যের সংকট । ফসলিজমি নিমজ্জিত থাকায় আমন বীজতলা, পাটসহ বিভিন্ন ধরনের শাক সবজি নষ্ট হতে বসেছে।
জেলা ত্রাণ ও পুর্ণবাসন কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল হাই সরকার জানান, জেলার ৯ উপজেলার ৩ পৌরসভা ও ৭৩ ইউনিয়নের মধ্যে ৪৫ টি ইউনিয়নের ১৮৫ গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। চলতি বন্যা ও নদী ভাঙ্গনে ১৫ হাজার ৬শ ৭০টি পরিবারের ঘর-বাড়ি বিদ্ধস্ত হয়েছে। তবে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের হিসেবে বন্যা কবলিত মানুষের সংখ্যা প্রায় লক্ষাধিক ছারিয়ে গেছে।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক বিপ্লব কুমার মোহন্ত জানান, চলতি বন্যায় ৩শ ৮০ হেক্টর জমির আমন বীজতলা ২শ’ ৪৪ হেক্টর আউশ ধান, ২শ ৬২ হেক্টর বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি, ৫শ ৮১ হেক্টর জমির পাট ও ২০ হেক্টর জমির কলা নিমজ্জিত হয়েছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানান, বন্যা কবলিতদের জন্য জেলা প্রশাসন থেকে ২শ ৭৫ মেট্রিক টন চাল, নগদ ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ৩শ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেয়া হযেছে। ইতিমধ্যেই শুকনো খাবার বিতরণ শেষ হয়েছে। তালিকা অনুযায়ী চাল ও নগদ টাকা বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।