এস এম রাফি ২ আগস্ট ২০২৩ , ৫:১৬ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
বেসরকারি ক্লিনিকে গেলেই সিজার করিয়ে দেওয়া হয় বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্য পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেছেন, ‘ডেলিভারির রোগী বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালে গেলেই সিজার করিয়ে দেওয়া হয়, যদিও বেশিরভাগই অপ্রয়োজনীয়। এবিষয়ে সবাইকে সতর্ক হতে হবে।’
বেসরকারি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালগুলোর কারণে দেশে সি-সেকশন (সিজার) নিয়ন্ত্রণে আসছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
বুধবার (২ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বিশ্ব জনসংখ্যা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে এখন সি-সেকশনের হার ৭০ শতাংশ। বেসরকারি ক্লিনিক-হাসপাতালগুলোতে গেলেই সি-সেকশন করে দেওয়া হয়। এগুলো আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। আমাদের দেশে এখনো ইনস্টিটিউশনাল ডেলিভারি অনেক কম। গ্রামাঞ্চলে ধাত্রীদের মাধ্যমে অসংখ্য ডেলিভারি হয়, যে কারণে এখনও মাতৃ ও শিশুমৃত্যু শূন্যের কোটায় আনা যাচ্ছে না। তবে আমরা সেগুলো নিয়ে কাজ করছি।’
জাহিদ মালেক বলেন, ‘আমরা প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারির সময়সীমা বাড়িয়েছি। আগে হাসপাতালে আট ঘণ্টা ডেলিভারি ছিলো, সেটাকে এখন ২৪ ঘণ্টায় নিয়ে এসেছি। এতে করে আশা করছি প্রাতিষ্ঠানিক ডেলিভারি আরও বাড়বে।’
মন্ত্রী বলেন, আমরা পরিবার পরিকল্পনায় ভালো কাজ করছি। দেশের যত অর্জন এর পেছনে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের অবদান বেশি। তাদের কারণেই ভ্যাকসিন হিরো অ্যাওয়ার্ড এসেছে, শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। তাদের কারণেই টিএফআর কমে এসেছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের পপুলেশন গ্রোথ ১ দশমিক ২ শতাংশে আছে, যা পূর্বে ৩ শতাংশ ছিলো। পপুলেশন আমাদের জন্য বোঝা নয়। আমাদের পপুলেশন আছে বিধায় বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশ। ইয়ং পপুলেশনকে লেখাপড়া, সুস্বাস্থ্য এবং তাদের কর্মসংস্থানে গুরুত্ব দিতে হবে।