এস এম রাফি ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৬:১৮ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমলেও কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ১৫ হাজার কৃষকের আমন ধান গত দুই সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে বন্যার পানিতে জলমগ্ন অবস্থায় রয়েছে।
খরার পর এমন দুর্যোগ যেন কৃষকের কাটা ঘায়ে লবণ ছিটানোর মতো অবস্থা। চলতি মৌসুমে বৃষ্টির অভাবে সেচ দিয়ে চাষাবাদ করা আমন ধানের চারা ৪র্থ দফার বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এখন তারা এই ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সরকারের অনুদানের দিকে তাকিয়ে আছেন।
এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বন্যা পরবর্তী সহায়তা দেবার আশ্বাস দিয়েছেন কৃষি অফিস।
উপজেলা কৃষি অফিস জানায়, এ বছর চলতি আমন মৌসুমে কৃষকরা ৮ হাজার ২০০ হেক্টর জমিতে ধান লাগিয়েছে। কিন্তু বন্যার পানিতে প্লাবিত হয়ে ছয় ইউনিয়নের ২৮শ ৫০ হেক্টর জমির আমন ধান তলিয়ে গেছে। বর্ষাকালীন সবজি খেতও তলিয়ে গেছে। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এ অঞ্চলের ১৫ হাজার কৃষক।
বন্যা কবলিত বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, এখনও অনেক জমির ফসল পানিতে পুরোপুরি নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। কোনও কোনও ফসলি জমিতে এখনও বুক সমান উচ্চতায় পানি বিরাজ করছে। কিছু অপেক্ষাকৃত উঁচু জমি থেকে বন্যার পানি নেমে গেলেও সেসব জমির রোপনকৃত রোপা আমন চারা ও সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।
পেদিখাওয়া বিলের কৃষক মোহাম্মদ আলী, মণ্ডলপাড়া বিলের কৃষক সাইফুল, জাহাঙ্গীর ও নজরুল বলেন, ধারদেনা করে জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ করেছিলাম। এখনো জমি চাষের হালের দাম পরিশোধ করা হয়নি। এরমধ্যে জমির ধান পুরোপুরি নষ্ট হয়ে গেছে। সামনের দিনগুলো কীভাবে কাটবে ভেবে পাচ্ছি না।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা প্রণয় বিষাণ কুমার দাস জানান, ‘আমরা এখন পানি নেমে যাওয়ার অপেক্ষা করছি। কৃষি অফিসের লোকজন সার্বক্ষণিক খোঁজ খবর নিচ্ছে। বন্যার পানি নেমে গেলে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের বীজ ও পরামর্শ দিয়ে সহযোগিতা করা হবে।