এস এম রাফি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ৩:৫৫ অপরাহ্ণ প্রিন্ট সংস্করণ
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে শিরায় দেওয়ার স্যালাইনের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বেশি দামেও মিলছে না স্যালাইন। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন রোগী ও তাদের স্বজনরা।
সারা দেশে ডেঙ্গু রোগী বৃদ্ধি, হঠাৎ কলেরা বা ডায়রিয়া বেড়ে যাওয়া এবং নিয়মিত সরবরাহ না থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর ) সকালে ভূরুঙ্গামারীর জামতলা মোড় ও এর আশ পাশের অন্তত ৭টি ওষুধের দোকানে গিয়ে স্যালাইন চাইলে বিক্রয়কর্মীরা দিতে পারেননি।
কোম্পানিগুলো শিরায় দেওয়া স্যালাইন সরবরাহ কমিয়ে দেওয়ায় এমন সংকট দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ওষুধ ব্যবসায়ীরা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, অপসো, ওরিয়ন, লিবরা ইনফিউশন, পপুলার, একমি, বেক্সিমকো, স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসহ বেশ কয়েকটি কোম্পানি স্যালাইন সরবরাহ করে থাকে। কিন্তু কিছু দিন থেকে চাহিদা অনুযায়ী স্যালাইন দিচ্ছে না কোম্পানিগুলো। ফলে ফার্মেসিগুলোতে স্যালাইনের তীব্র সংকট চলছে। তবে সরবরাহ কেন কম তা বলতে পারছেন না তারা।
চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দিলে, ডায়রিয়া বা কলেরা হলে অথবা কখনো কখনো রক্তচাপ স্থিতিশীল রাখার জন্য শিরায় দেওয়া স্যালাইন ব্যবহারের পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা। ডেঙ্গু রোগীদেরও নিয়মিত স্যালাইন দিতে হয়।
একটি স্থানীয় বেসরকারি ক্লিনিকে ভর্তি এক রোগীর স্বজন রাসেল শাওন জানান, তাঁর বোনের জ্বরের সাথে ডায়রিয়া হয়েছে। একটু ভালো চিকিৎসার জন্য ক্লিনিকে ভর্তি করেছেন। ডাক্তার স্যালাইন লিখে দিয়েছে কিন্তু ওষুধের দোকান ঘুরে স্যালাইন পাওয়া যাচ্ছে না।
থানা রোডের ইসলাম ফার্মেসির স্বত্বাধিকারী আব্দুল মালেক জানান, কোম্পানিগুলোর কাছে
দুইশ পিচ স্যালাইনের চাহিদা দিলে ১০ টিও মিলছে না। গত প্রায় এক মাস থেকে ওষুধ কোম্পানি গুলো নিয়মিত স্যালাইন সর্বরাহ করছে না। ফলে প্রতিদিন অসংখ্য রোগী স্যালাইন কিনতে এসে না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
জামতলা মোড়ের নিউ রানা মেডিকেল স্টোর এর মালিক মাসুদ রানা বলেন, প্রায় এক মাস ধরে বাজারে স্যালাইনের সংকট রয়েছে। কোম্পানিগুলো নিয়মিত স্যালাইনই দিচ্ছে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আবু সাজ্জাদ মোহাম্মদ সায়েম জানান, হাসপাতালে স্যালাইনের আপাতত কোনো সংকট নেই। তবে বাইরের ফার্মেসীতে স্যালাইনের সংকট রয়েছে বলে শুনেছেন।